বনগাঁ, 6 জুন: ত্রাণ নিয়ে দলবাজি ৷ বেছে বেছে কর্মীদের গ্রেপ্তার ও পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে কয়েকশো কর্মী-সমর্থককে নিয়ে বিক্ষোভে সামিল হন BJP সাংসদ শান্তনু ঠাকুর ও বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস । আর তাতেই কোরোনা আবহে শিকেয় উঠল সামাজিক দূরত্ব । ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটায় ।
সামাজিক দূরত্ব শিকেয় তুলে সাংসদ ও বিধায়কদের পথ অবরোধ - bangaon mp santanu thakur
সামাজিক দূরত্ব না মেনেই গাইঘাটায় অবস্থান বিক্ষোভ বনগাঁর BJP সাংসদ শান্তনু ঠাকুর ও বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসের ৷ এতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে ৷
সাংসদ শান্তনু ঠাকুর ও বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসের নেতৃত্বে কয়েকশো BJP কর্মী-সমর্থক গাইঘাটা থানার সামনে যশোর রোডে বসে পড়েন । কোরোনা আবহে সামাজিক দূরত্ব না-মেনে উচ্চপর্যায়ের দুই জনপ্রতিনিধির জমায়েত করে অবরোধের ঘটনায় আতঙ্কিত গাইঘাটার সচেতন বাসিন্দারা । তাঁদের মতে, কোরোনা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে শারীরিক দূরত্ব মেনে বিক্ষোভ করা উচিত ছিল । এদিন সকালেই bJP-র নেতা-কর্মীরা ঠাকুরনগর এলাকায় জড়ো হয়েছিলেন । এরপর তাঁরা মিছিল করে গাইঘাটা থানার সামনে আসেন । যশোর রোডে কোনও সামাজিক দূরত্ব না-মেনেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তারা । বিক্ষোভের কারণে যশোর রোডে যানবাহন আটকে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয় ।প্রায় দু'ঘণ্টা ধরে চলে এই বিক্ষোভ । সাংসদ শান্তনু ঠাকুর বলেন, "গাইঘাটা থানার পুলিশ আমাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে ৷ মানুষের দুঃসময়ে তাদের কাছে পৌঁছাতে দিচ্ছে না । বেছে বেছে BJP কর্মী-সমর্থকদের জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দিচ্ছে । তারই প্রতিবাদে আমাদের এই অবস্থান বিক্ষোভ ।" বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস বলেন, "পুলিশকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে হবে । শাসক দলের কোনও লোকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে গেলে পুলিশ আমল দিচ্ছে না । তারই প্রতিবাদে আমাদের এই কর্মসূচি ।"
বিক্ষোভের জমায়েত দেখে বাসিন্দারা প্রশ্ন তুললেও সাংসদ তাতে কর্ণপাত করেননি । প্রসঙ্গত উত্তর ২৪ পরগনা জেলা গোটা রাজ্যের মধ্যে কোরোনা সংক্রমণে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে । জেলার মধ্যে আবার সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ গাইঘাটা ব্লকে । সেই গাইঘাটাতেই সামাজিক দূরত্ব না-মেনে কয়েকশো কর্মী-সমর্থক নিয়ে BJP সাংসদ ও বিধায়কের অবস্থান বিক্ষোভে প্রশাসনের উদ্বেগ বেড়েছে ।