কলকাতা, 27 মে : সল্টলেকে উদ্ধার মা ও মেয়ের দেহ (Mother-Daughter Body Recovered from Saltlake) ৷ সুইসাইড নোটও পাওয়া গিয়েছে দেহের কাছ থেকে । মানসিক অবসাদে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী বলেই অনুমান পুলিশের । মৃত্যুর সঠিক তথ্য জানতে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে বিধাননগর উত্তর থানার পুলিশ ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গতকাল বিকেলে প্রতিবেশীদের সঙ্গে শেষবারের মতো কথা বলেন সল্টলেক সিডি ব্লকের বাসিন্দা সুপর্ণা ঘোষ (55) । এরপর আজ, শুক্রবার সকালে সিডি ব্লকের 174 নম্বর বাড়ির তিনতলার এই মহিলার পাশের ঘরের প্রতিবেশী দেখতে পান তাঁর ঘরের ভিতর থেকে জল বেরিয়ে আসছে । বারবার ডাকাডাকি করলেও কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি বলে প্রতিবেশীর দাবি ।
জানা গিয়েছে যে পাশের ঘরের প্রতিবেশীর পক্ষ থেকে এই মহিলার বান্ধবীদের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয় । প্রতিবেশী এবং বন্ধুরা ফোন করলেও তার কোনও উত্তর মেলেনি । দরজায় এসে ধাক্কা মারলেও কেউ দরজা না খোলায় সন্দেহ হয় তাদের । খবর দেওয়া হয় বিধাননগর উত্তর থানায় ।
Mother-Daughter Body Recovered : পাশে রাখা সৎকারের জন্য টাকা, বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার মা-মেয়ের দেহ পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করলে দেখতে পায় খাটের উপর মেয়ে স্নেহা ঘোষ এবং মেঝেতে মা সুপর্ণা ঘোষের নিথর দেহ পড়ে রয়েছে । তাঁদের দেহের পাশে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর । স্থানীয় 40 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তুলসী সিনহা রায় জানান, 26 এপ্রিল মৃত্যু হয়েছিল সুপর্ণা ঘোষের স্বামী স্নেহাংশু ঘোষের । তারপর থেকেই মানসিক এবং আর্থিকভাবে ভেঙে পড়েন তারা । ফলে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন । তিনি আরও জানান মৃত্যুর সময় তাঁর সৎকারের জন্যে 20 হাজার টাকাও তিনি সুইসাইড নোটের সঙ্গে রেখে যান ।
মানসিক অবসাদের জেরেই কি স্বামী মৃত্যুর এক মাস পর মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে আত্মহত্যা করলেন সুপর্ণা ঘোষ নাকি অন্য কোনও রহস্য লুকিয়ে রয়েছে এই ঘটনার নেপথ্যে, তদন্ত শুরু করেছে বিধাননগর উত্তর থানার পুলিশ ।
আরও পড়ুন :Manjusha Neogi death: মনের মতো কাজ পাচ্ছিলেন না মঞ্জুষা, দাবি পরিবারের