কলকাতা, 22 মার্চ : রাস্তাঘাট মোটের উপর ফাঁকা । চলছে না বাস বা অটো । তার পরেও অনেকেই বের হয়েছেন রাস্তায় । অনেকে বেরিয়েছেন জরুরি প্রয়োজনে । অনেকে আবার অপ্রয়োজনে । জনতা কারফাউয়ের জেরে মিশ্র প্রভাব দেখা গেল ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে ।
জনতা কারফিউ : মিশ্র প্রভাব ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে - Corona
জনতা কারফিউয়ে মিশ্র প্রভাব ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে । রাস্তাঘাট মোটের উপর ফাঁকা । কিন্তু অনেকেই অনেকেই বের হয়েছেন রাস্তায় ।
বি টি রোড কিংবা সোদপুর-মধ্যমগ্রাম রোড । সকাল থেকেই যান চলাচল একেবারে বন্ধ । ব্যস্ত দুই রাস্তায় আজ আলসেমির মেজাজ । বেশিরভাগ মানুষই গৃহবন্দী । জনসচেতনতায় কোরোনা ভাইরাসকে রুখে দেওয়ার মরিয়া চেষ্টা । মানুষের মধ্যে কতোটা একাত্মবোধ আছে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের তা দেখে নিতে চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । চেয়েছিলেন কোরোনা ভাইরাসের সংক্রমণ চেইনটা ভেঙে দিতে । তার গুরুত্ব অনেকেই বুঝেছেন ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে । আর তাই অধিকাংশ বড় বাজার রবিবারেও বসেনি । ব্যাতিক্রম কিছু সবজি কিংবা মাছের দোকান । সোদপুরের কদমতলা বাজারে এক সবজি বিক্রেতা বলছিলেন, “আমি দিন আনি দিন খাই। যদি কিছু বিক্রি না হয় তবে খাব কি? সেই কারণে ঝুঁকি নিয়েও বসেছি ।"
তবে মাছের বাজারে দেখা গেল কিছুটা ভিড় । যদিও অন্যান্য রবিবার যে পরিমাণে থাকে, আজ তা অনেকটা কম । বাজার করতে আসা স্থানীয় এক বাসিন্দা বলছিলেন, “ বাজারই আমার জরুরি কাজ । তাই বেরিয়েছি বাড়ি থেকে ।" অনেকে আবার প্রধানমন্ত্রী জনতা কারফিউর ঘোষণাতে খুঁজে পেয়েছেন রাজনীতি । সেই রাজনীতি যাতে সফল না হয় সেই কারণে বেরিয়েছেন রাস্তায় । চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে দিতে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলছিলেন, “ মানুষকে ভয় দেখিয়ে উনি আসলে রাজনীতি করছেন । উনি বুঝে নিতে চাইছেন এখনও তাঁর প্রতি জনসমর্থন কতটা । সেই কারণেই এই জনতা কারফিউ । সেটা যাতে সফল না হয় সেই কারণে আমি রাস্তায় বেরিয়েছি ।"