গাইঘাটা, 29 অগস্ট : রাজ্য থেকে চার সাংসদ মোদির মন্ত্রীসভায় স্থান পেয়েছে । বিভিন্ন মন্ত্রকে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন তাঁরা । বাদল অধিবেশন শেষে সম্প্রতি রাজ্যে ফিরেছেন এই চার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী । প্রত্যেককেই দলের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছে । সেইমতোই শনিবার সন্ধ্যায় বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার গাইঘাটা মণ্ডল-1-এর পক্ষ থেকে ঠাকুরনগর রেল পার্কিং এলাকায় কেন্দ্রীয় বন্দর, জাহাজ ও জলপথ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরকে সংবর্ধনা দেওয়া হয় ।
প্রতিমন্ত্রী হওয়ার পর এই প্রথমবার নিজের এলাকায় জনসমক্ষে উপস্থিত হন শান্তনু ঠাকুর ৷ সংবর্ধনা মঞ্চ থেকে তিনি বলেন, "রাজ্য সরকার আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা না করলে আমরা কি করে কাজ করব । সংবিধানের বাইরে গিয়ে তো আর জোর করে কাজ করতে পারি না । এতে যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো নষ্ট হয় ।"
আরও পড়ুন :কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর, নতুন আশায় বুক বাঁধছে মতুয়ারা
ঠাকুরনগরবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, "ঠাকুরনগরের পাশাপাশি বনগাঁ লোকসভা এলাকায় উন্নয়ন হবে । কেউ রুখতে পারবে না । যা যা কথা দিয়েছি প্রত্যেকটা কথা রাখব । শুধু করোনা পরিস্থিতি কাটতে দিন । আমি যা কথা দিয়েছি তা ভুলিনি । ঠাকুরনগরের নাম শ্রীধাম ঠাকুরনগর হবে । ঠাকুরনগরে তিন নম্বর প্ল্যাটফর্ম-সহ বেশ কিছু জায়গায় রেলগেট হবে । কারণ, ঠাকুরনগর রেলগেটে সকালে প্রচুর ভিড় হয় । আমার কাছে সব খবর আছে ।" সিএএ (CAA) নিয়ে তিনি বলেন, "সিএএ খুব শীঘ্রই লাগু হবে । এই নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা হয়েছে ।"
সংবর্ধনা মঞ্চে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর শান্তনু ঠাকুরের পাশাপাশি এদিনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, গাইঘাটার এমএলএ সুব্রত ঠাকুর, বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া, বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সাধারণ সম্পাদক দেবদাস মণ্ডল-সহ স্থানীয় নেতা নেত্রীরা । সবাই থাকলেও দেখা যায়নি জেলা সভাপতি মনস্পতি দেবকে । মঞ্চের মূল ফ্লেক্সেও ছিল না তাঁর ছবি । যা নিয়ে ফের একবার প্রশ্নের মুখে বনগাঁ বিজেপি ।
আরও পড়ুন :মতুয়া ভোটে কর্তৃত্বই কি শান্তনুর মন্ত্রিত্বের চাবিকাঠি ?