বসিরহাট, 28 মার্চ : মাটিয়া-কাণ্ডের বীভৎসতা হার মানিয়েছে মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও (Matia Minor Girl Rape Case is Very Much Inhuman) ৷ চিকিৎসকরা নারকীয় এই নির্যাতনের ঘটনার সঙ্গে মিল খুঁজে পাচ্ছেন দিল্লির নির্ভয়াকাণ্ডের ৷ যেভাবে 11 বছরের একরত্তি ওই নাবালিকার ওপর পাশবিক অত্যাচার চালানো হয়েছে, তাতে স্তম্ভিত চিকিৎসকেরাও । প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকরা মনে করছেন, ধর্ষণের পর নাবালিকার গোপনাঙ্গে ভোঁতা কিছু দিয়ে বারবার আঘাত করা হয়েছে । যার ফলে গভীর ক্ষত চিহ্ন তৈরি হয়েছে বলে খবর হাসপাতাল সূত্রে ৷ অন্ত্রেও আঘাত লেগেছে বলে অভিযোগ ৷
গোপনাঙ্গের আঘাত থেকে রক্তপাত বন্ধ করতে, ইতিমধ্যে আরজি কর হাসপাতালের মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচার করেছেন ৷ সেই অস্ত্রোপচার প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে চলে বলে জানা গিয়েছে ৷ এর পরেও সংক্রমণ রুখতে নাবালিকার শারীরিক অবস্থার দিকে প্রতিনিয়ত নজর রেখে চলেছেন চিকিৎসকরা । হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, আপাতত ওই নাবালিকার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল । সংক্রমণ অনেকটাই রোখা গিয়েছে বলে খবর ৷ ফলে, হাসপাতালের এইচডিইউ ইউনিট থেকে তাঁকে পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তরিত করা হয়েছে ৷ ছোট্ট শরীরে এমন হিংস্রতা দেখে শিউরে উঠেছেন নির্যাতিতার পরিবারের লোকেরাও ৷ ঘটনার পর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছে নাবালিকার গ্রাম মাটিয়ার নেহালপুরের বাসান্দারা । অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন তাঁরা ৷ একই দাবিতে সোচ্চার হয়েছে নির্যাতিতার পরিবারও ৷