দেগঙ্গা, 23 মে : মাথায় হাত উত্তর 24 পরগনার দেগঙ্গার আমচাষিদের ৷ গত বছর গিয়েছে আমফান ৷ প্রবল ক্ষতির মুখে পড়তে হয় কৃষকদের ৷ তার মধ্যে ছিলেন আমচাষিরাও ৷ এবছর আবার আসছে যশ ৷ আগের বছর বিপুল পরিমাণ ক্ষতির মুখোমুখি হতে হয়েছিল ৷ এবছরও ফের যাতে সেই পরিমাণ ক্ষতি না হয় তার জন্য ফসল পাকার আগেই ভেঙে নিতে হচ্ছে ৷ দেগঙ্গার আমবাগানগুলিতেও একই ছবি ৷ বেশিরভাগ আমই অসময়ে পেড়ে নিচ্ছেন চাষিরা ৷
আগের বছর মে মাসের এই সময়ই তছনছ করে দিয়েছিল আমফান ৷ প্রচুর ক্ষতির মুখে পড়তে হয় ৷ এবছর আবার ধেয়ে আসছে যশ ৷ তাই তড়িঘড়ি কাঁচা আমই পেড়ে নিতে শুরু করেছেন চাষিরা ৷ চাষিরা জানাচ্ছেন, দক্ষিণবঙ্গে এখনও পাকা আম পাড়ার সময় আসেনি ৷ ঘূর্ণিঝড়ের পাশাপাশি রয়েছে আবার কার্যত লকডাউন ৷ বাজারই যদি খোলা পাওয়া না যায় তাহলে তাঁরা ফসল বিক্রি কোথায় করবেন ? তাঁরা বিক্রি করতে চাইলেও কেনার লোক পাবেন না ৷
ঘূর্ণিঝড় যশের ধেয়ে আসার আগেই ক্ষতির আশঙ্কায় অসময়ে আম পেড়ে নিলেন উত্তর 24 পরগনার চাষিরা ৷ দেগঙ্গার আমুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা আমচাষি প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী বলেন, "আমি নিজে 11 বছর ধরে এই ব্যবসা করছি ৷ আমার পরিবার কুড়ি বছর ধরে আমের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে ৷ এমন সময় কখনও আসেনি ৷ কারণ একে তো করোনার জন্য লকডাউন তারপর আবার সাইক্লোন যশ আসছে ৷ এই দুয়ের মাঝে পড়ে এই মরশুমের আমের ব্যবসায় প্রচুর ক্ষতি হয়ে যেতে পারে ৷ লকডাউনের জন্য বাজার খোলা নেই ৷ কী করব ভেবে পাচ্ছি না ৷ এখান থেকে অন্য রাজ্যে আম যেত ৷ লকডাউনের জন্য তাও হবে না ৷ আম গাছে যখন মুকুল আসে তখন থেকেই বাগানে শ্রমিক লাগাতে হয় ৷ তার একটা খরচ থাকে ৷ এখন আম পেড়ে বাজারে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করতে না পারলে সেই খরচ উঠবে না ৷ বাজারে আমের দাম নেই কারণ কেনার লোকও নেই বললেই চলে ৷"
আরও পড়ুন : 26 মে দীঘা উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে যশ