দত্তপুকুর, 14 নভেম্বর :যুবকের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় খুনের অভিযোগ তুললেন পরিবারের সদস্যরা ৷ ঘটনার জেরে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে দীর্ঘক্ষণ বারাসত-ব্যারাকপুর রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন নিহত যুবকের প্রতিবেশী ও পরিজনেরা ৷ রবিবারের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে উত্তর 24 পরগনার দত্তপুকুরের নীলগঞ্জ মোড়ে ৷ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত যুবকের নাম রফিকুল ইসলাম (35) ৷ এদিন সকালে এলাকার একটি পুকুর থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয় ৷ প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, রফিকুলের শরীরের একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে ৷ যা দেখে সকলের অনুমান, তাঁকে খুন করা হয়েছে ৷ প্রাথমিকভাবে পুলিশও তেমনটাই মনে করছে ৷
আরও পড়ুন :Jalpaiguri Murder: জলপাইগুড়িতে চা বাগানের নর্দমা থেকে উদ্ধার মহিলার রক্তাক্ত দেহ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দত্তপুকুরের নীলগঞ্জের কোকাপুর গ্রামে দীর্ঘদিন ধরেই মদ,গাঁজা এবং জুয়ার আসর চলছিল ৷ পুলিশকে বারবার এনিয়ে অভিযোগ করা হলেও তারা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ ৷ উল্টে পুলিশেরই একাংশের এতে মদত রয়েছে বলে অভিযোগ ৷ এলাকাবাসীর বক্তব্য, পুলিশের এই নিষ্ক্রিয়তাতেই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে দুষ্কৃতীরা ৷ তাদের দৌরাত্ম্যে এলাকার সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠলেও পুলিশের তাতেও কোনও হেলদোল নেই ৷ এই অবস্থায় রফিকুলের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় ক্ষেপে ওঠেন স্থানীয় বাসিন্দারা ৷ রাস্তা আটকে শুরু হয় বিক্ষোভ ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় নীলগঞ্জ ফাঁড়ির পুলিশ ৷ তারা দ্রুত পদক্ষেপের আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে ৷ রফিকুলের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বারাসত জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয় ৷
আরও পড়ুন :Hooghly Child Death : গঙ্গার তীর থেকে উদ্ধার 10 বছরের বালকের দেহ
এদিকে, রফিকুলের মৃত্যুর খবর জানাজানি হতেই শোকে মূহ্যমান হয়ে পড়েন তাঁর পরিবারের সদস্যরা ৷ রফিকুলের মা সাহিদা বিবি জানান, তাঁর ছেলে গাড়ি চালাতেন ৷ শুক্রবার সকালে গাড়ি সারাতেই বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন ৷ তারপর থেকে আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি ছেলের ৷ বারবার তাঁর মোবাইলে ফোন করা হলেও সেটি সুইচড অফ ছিল ৷ তবে রফিকুল যে নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন, তা মেনে নিয়েছেন সাহিদা ৷ তাহলে কি এলাকায় যে মদ, গাঁজার আসর বসত, সেখান থেকেই সমস্যার সূত্রপাত ? সেই ঠেকে গিয়েই নেশায় জড়ান রফিকুল ? উত্তর খুঁজছে পুলিশ ৷