অশোকনগরে পুনর্নির্বাচনেও দেদার ছাপ্পা ! অশোকনগর, 10 জুলাই: পুনর্নির্বাচনেও ঠেকানো গেল না ছাপ্পা ভোট ! বদলাল না অশোকনগরের ছবিটা ! বুথে ঢুকে অবাধে চলল দেদার ছাপ্পা ভোট ! অভিযোগ, একই ব্যক্তি একাধিকবার ছাপ্পা ভোট দিয়ে বুক ফুলিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন ভোটগ্রহণ কেন্দ্র থেকে । তাও আবার কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্য পুলিশের উপস্থিতিতেই । ঘটনাটি ঘটেছে অশোকনগরের সোলেমানপুর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের 73 নম্বর বুথে ।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই বুথের দায়িত্বে থাকা প্রিসাইডিং অফিসারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে । কীভাবে বুথের ভিতর সকলের সামনে ওই ব্যক্তি ছাপ্পা ভোট দিতে পারলেন, একাধিকবার ভোট দেওয়া সত্বেও কেন তাঁকে আটকানো হল না, এই প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে ।
ভোটের দিন অর্থাৎ শনিবার এই বুথেই ভোট চলাকালীন ব্যাপক ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে । চলে বোমাবাজিও । পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে, এক সময় পুলিশকে বেআইনি জমায়েত সরাতে লাঠিচার্জ পর্যন্ত করতে হয় । ক্ষিপ্ত হয়ে আমজনতা ব্যালট বাক্স পুকুরে ফেলে ভোটচুরির প্রতিবাদও জানায় সে দিন । এরপর রাজ্য নির্বাচন কমিশন অশোকনগরের সোলেমানপুরের 73 নম্বর বুথে নতুন করে ভোট গ্রহণের নির্দেশ দেয় ।
আরও পড়ুন:কেন এত কম আসনে পুনর্নির্বাচন ? বীরভূমে জেলাশাসকের দফতরে বিক্ষোভ বিজেপির
সেই মতো সোমবার সকাল থেকে কড়া নিরাপত্তায় পুনর্নির্বাচন শুরু হয় এই বুথে । বুথের সামনে রাজ্য পুলিশ মোতায়েন থাকলেও বাইরের নিরাপত্তার দায়িত্ব ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাঁধে । তারই মধ্যে সু-শৃঙ্খলভাবে চলছিল ভোট প্রক্রিয়া । বাকিবুল্লা মণ্ডল নামে ওই ব্যক্তি লাইনেও দাঁড়িয়েছিলেন ভোট দেওয়ার জন্য । এরপর তিনি বুথে ঢুকে একের পর এক ভোট দেন বলে অভিযোগ । ছাপ্পা দেওয়ার পর তিনি প্রিসাইডিং অফিসার এবং নিরাপত্তা রক্ষীদের সামনে দিয়ে বুক ফুলিয়ে বেরিয়ে যান বলেও অভিযোগ উঠেছে । যা ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে সোলেমানপুর এলাকায় ।
যদিও ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে নিজের স্বপক্ষে যুক্তি খাড়া করেছেন বাকিবুল্লা । তিনি বলেন, "আমার কাকা প্রতিবন্ধী । সেই কারণে কাকা ও আমার, দু'জনের ভোট একসঙ্গে দিয়েছি । এর মধ্যে ছাপ্পা ভোটের কোনও বিষয় নেই । একটি বৈদ্যুতিক চ্যানেল নিজেদের মতো করে সংবাদ পরিবেশন করেছে । নির্বিঘ্নেই ভোট হচ্ছে এখানে ৷"
এ দিকে, এর বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বামনেতা তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় ।