আমডাঙা, 13 অগস্ট: জল্পনাই সত্যি হল ! তৃণমূলকে রুখতে শেষ পর্যন্ত রাম-বাম জোটের সমর্থনে বোর্ড গঠিত হল আমডাঙার মরিচা পঞ্চায়েতে । ভোটাভুটিতে বাম ও বিজেপি জোটের কাছে হেরে পঞ্চায়েত থেকে ক্ষমতাচ্যুত হতে হল শাসকদলকে । প্রধান হলেন বিজেপির সঞ্জীব ওরাং । আর উপপ্রধানের পদ পেয়েছেন সিপিএমের বাসন্তী হেমব্রম । শাসকদলের হাত থেকে মরিচা পঞ্চায়েত রাম-বাম জোটের দখলে আসতেই লাল-গেরুয়া রঙে একাকার হয়ে যায় পঞ্চায়েত চত্বর । আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠেন বাম-বিজেপির কর্মী সমর্থকরা ।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায় উত্তর 24 পরগনা জেলাজুড়ে । অস্বস্তির মুখে পড়ে দায় এড়ানোর চেষ্টা করেন জেলা সিপিএম নেতৃত্ব । যদিও হাতে গরম ইস্যু পেয়ে সিপিএম এবং বিজেপি দু'দলের বিরুদ্ধেই সুর চড়িয়েছে শাসক শিবির । তাতে অবশ্য আমল দিতে নারাজ গেরুয়া শিবির । মানুষ চেয়েছে বলেই এই জোট হয়েছে বলে সাফাই দিয়েছে তারা ।
উত্তর 24 পরগনার 199টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে এ বার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ পঞ্চায়েতে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে শাসকদল । তা সত্ত্বেও বেশকিছু পঞ্চায়েতের বোর্ড হাতছাড়া হয়েছে তৃণমূলের । এর পিছনে কারণ হিসেবে যেমন তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল রয়েছে, তেমনই রয়েছে শাসকদলকে রুখতে বিরোধী শিবিরের এককাট্টা হওয়া । তবে,আমডাঙার মরিচা পঞ্চায়েতের পরিস্থিতি ছিল সম্পূর্ণ আলাদা । কারণ এখানে কেউই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি । ত্রিশঙ্কু অবস্থায় ছিল এই পঞ্চায়েত ।
24 আসন বিশিষ্ট মরিচা পঞ্চায়েতে আসনের নিরিখে অন্য রাজনৈতিক দলের থেকে কিছুটা হলেও এগিয়ে ছিল শাসকদল । সেখানে তাদের আসন সংখ্যা 10 । ঠিক এর পিছনেই 7টি আসন নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ছিল বিজেপি । বাকি সাতটি আসনের মধ্যে সিপিএম পেয়েছিল 4টি আসন । ফরওয়ার্ড ব্লক 2টি আর বাম সমর্থিত নির্দল একটি আসন । অর্থাৎ বৃহত্তর দল হিসেবে তৃণমূলই এগিয়ে ছিল এই পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করার ক্ষেত্রে । কিন্তু সব অঙ্কই ভেস্তে যায় রাম-বাম জোট হওয়ার ফলে ।