বারাসত , 28 জুলাই : স্বাস্থ্যবিধি মেনে ফিজ়িকালি কোর্ট চালুর দাবিতে আজ বারাসত আদালতে বিক্ষোভ দেখালেন আইনজীবীরা । অল ইন্ডিয়া লইয়ার্স ইউনিয়ন (AILU)-এর তরফে এই বিক্ষোভ চলে । আদালতের মূল গেটের সামনে প্লাকার্ড হাতে ও বুকে ঝুলিয়ে বিক্ষোভে সামিল হন আইনজীবীদের একাংশ । যদিও পরে বিক্ষোভ তুলে নেওয়া হয় । তবে দাবি পূরণ না হলে ফের আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আইনজীবীরা ।
ফিজ়িকালি কোর্ট চালুর দাবিতে বারাসত আদালতে প্লাকার্ড হাতে বিক্ষোভ আইনজীবীদের
কোরোনা মোকাবিলায় লকডাউন জারি হওয়ার পরে রাজ্যের বিভিন্ন আদালতের স্বাভাবিক কাজকর্ম বন্ধ রাখতে হয় । পরে আনলক পর্বে ধীরে ধীরে আদালত খুললেও সংক্রমণের আশঙ্কায় বেশিরভাগ মামলার শুনানি চলছিল অনলাইন পদ্ধতিতে । বারাসত জেলা আদালতেও একই পদ্ধতি অবলম্বন করা হয় । ফলে আদালতে সেভাবে ফিজ়িক্যালি অংশগ্রহণ করতে পারছিলেন না আইনজীবীদের একাংশ । এর জেরে মক্কেল আসাও কমে যায় । ফলে আর্থিক সংকটে পড়েন তাঁরা ।
কোরোনা মোকাবিলায় লকডাউন জারি হওয়ার পরে রাজ্যের বিভিন্ন আদালতের স্বাভাবিক কাজকর্ম বন্ধ রাখতে হয় । পরে আনলক পর্বে ধীরে ধীরে আদালত খুললেও সংক্রমণের আশঙ্কায় বেশিরভাগ মামলার শুনানি চলছিল অনলাইন পদ্ধতিতে । বারাসত জেলা আদালতেও একই পদ্ধতি অবলম্বন করা হয় । ফলে আদালতে সেভাবে ফিজ়িক্যাল অংশগ্রহণ করতে পারছিলেন না আইনজীবীদের একাংশ । এমনটাই অভিযোগ তাঁদের । এর জেরে মক্কেল আসাও কমে যায় । ফলে সংকটে পড়েন তাঁরা । রোজগারে টান পড়ে । এই পরিস্থিতিতে সংসার চালাতে পারছিলেন না তাঁরা । তাই , রুজির টানে পথে নামতে বাধ্য হয়েছেন বারাসত আদালতের আইনজীবীদের একাংশ । আদালতের মূল গেটের সামনে প্লাকার্ড হাতে আজ তাঁরা বিক্ষোভ দেখান । তাঁদের অভিযোগ ," ফিজ়িকালি কোর্ট চালুর বিষয়ে জেলা জজের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও এখনও পর্যন্ত কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি । তাই বাধ্য হয়েই বিক্ষোভ দেখাতে হয়েছে ।
এই বিষয়ে বারাসত জেলা আদালতের আইনজীবী লুই দাস চন্দ্র পাল বলেন "কোরোনার জেরে দীর্ঘ চারমাস ধরে আদালতের স্বাভাবিক কাজকর্ম প্রায় বন্ধ রয়েছে । মাঝে দু'দিনের জন্য আদালতের কাজকর্ম চললেও তা একমাসও স্থায়ী হয়নি । এই পরিস্থিতিতে চরম অসুবিধার মুখে পড়েছেন বিচার প্রার্থীরা । সংকটে পড়েছেন আদালতের অসংখ্য আইনজীবী ও ল'ক্লার্ক । এই অবস্থায় সপ্তাহে তিনদিন ফিজ়িকালি কোর্ট চালুর দাবি করছি আমরা । " কিন্তু কোরোনা আবহে ফিজ়িক্যালি কোর্ট চালু হলে তো আদালতে ভিড় বাড়বে বিচারপ্রার্থীদের । তখন তো সংক্রমণের আশঙ্কাও বাড়বে । এই প্রশ্নের উত্তরে ওই আইনজীবী বলেন ," আমরা সেই বিষয়েও ওয়াকিবহাল । তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনেই তা চালু করা হোক । প্রয়োজনে মক্কেলদের আদালতে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না । শুধু কোর্টের ফিজ়িকালি শুনানিতে আইনজীবীরাই অংশগ্রহণ করবে । আমরা সমস্ত নিয়ম মেনে চলতে রাজি ।
এদিকে , বারাসত আদালত সূত্রে জানা গেছে , এখন সপ্তাহে দু'দিন CJM ও ACJM-এর এজলাসে ফিজ়িকালি শুনানি চলছে । 31 জুলাইয়ের পর তার কোনও পরিবর্তন হবে কি না , তা সময়ই বলবে । তবে , আসামীদের যে দিন কোর্টে নিয়ে আসা হচ্ছে সেদিনও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ফিজ়িকাল হেয়ারিং চলছে বলেই আদালত সূত্রে খবর ।