হাবড়া, 28 অক্টোবর : পদ্মাখাল জুড়ে বেআইনি নির্মাণ । যার অনিবার্য পরিণতিতে হাবড়া শহরের বিস্তীর্ণ এলাকায় জমে রয়েছে বৃষ্টির জল । তাতে প্রাণ গিয়েছে এক শিশুর । তবু হেলদোল নেই প্রশাসনের । জলবন্দী বাসিন্দারা ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন প্রশাসনের বিরুদ্ধেই ।
উত্তর 24 পরগনার হাবড়া শহরের উত্তর দিক দিয়ে বয়ে গিয়েছে পদ্মাখাল । কিন্তু জবরদখলের গেরোয় সেই পদ্মাখাল আর খাল নেই । দেখে চেনাও যায় না । খালজুড়ে গড়ে উঠেছে বসতি । অভিযোগ, পদ্মাখাল জবরদখল শুরু হয় বামেদের সময় । বিদায়ের আগে CPI(M) রাতারাতি পদ্মাখালের উপর 52টি পরিবারকে বসিয়ে দেয় । তৃণমূলের জমানাতেও জবরদখলের বিরাম নেই । গত কয়েক বছরে ধরে সেই খালের উপর একের পর এক বেআইনি নির্মাণ হয়েছে । আর তাতেই বন্ধ হয়ে গেছে হাবড়া শহরের জল নিকাশি ব্যবস্থা । বর্তমানে বৃষ্টির জল জমে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে হাবড়া শহরের 8 নম্বর ওয়ার্ডের বিস্তীর্ণ এলাকা । বিশেষ করে উত্তর হাবড়া ও হাসপাতাল পাড়া, সেবা সংঘ এলাকা জলে ডুবে । জলবন্দী হয়ে রয়েছে কয়েকশো পরিবার ।
সম্প্রতি হাবড়ার বিধায়ক তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জলবন্দী এলাকা পরিদর্শন করে গেছেন । মন্ত্রীর নির্দেশে কয়েকটি পাম্প বসিয়ে জল সরানোর উদ্যোগ শুরু হয়েছে । কিন্তু স্থায়ী সমাধান কিছুই হয়নি । এদিকে জবরদখল করে নির্মাণকাজ সম্পর্কে মন্ত্রী কোনও কথা বলেননি । তারই মধ্যে গত রবিবার ঘরের মধ্যেই জমা জলে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে এক শিশুর । এই ঘটনার পর বাসিন্দাদের ক্ষোভ আরও বেড়েছে ।
দুর্গত এলাকায় গিয়ে দেখা গেল গোটা উত্তর হাবড়া এলাকা জলবন্দী । বাসিন্দারা বড় টিউব দিয়ে ভেলা বানিয়ে যাতায়াত করছেন । কোথাও আবার বাঁশের সাঁকো বানানো হয়েছে । বেশ কিছু পরিবার বাড়ি ছেড়েছে । রাস্তার উপরে মিনতি সাহার বাড়ি । বাইরে বেরোনোর উপায় নেই । তাই বাড়ির জানালা থেকেই বললেন, "বেশ কিছুদিন জলবন্দী হয়ে রয়েছি । প্রশাসনের কোনও হুঁশ নেই । পদ্মাখালের উপর জবরদখল করে বাড়ি তৈরির ফলেই হাবড়া শহরের জল সরছে না ।"