বারাসত, 16 এপ্রিল: প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যয়ে কর্মতীর্থ তৈরি হয়েও থমকে রয়েছে দোকানঘর হস্তান্তরের প্রক্রিয়া । উত্তর 24 পরগনার জেলা সদর বারাসতে প্রশাসনের উদাসীনতার অভিযোগ উঠলেও তা অস্বীকার করেছেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা । কর্মতীর্থ প্রকল্পের কাজ অসম্পন্নতাকেই বরং বড় দায়ী করেছেন তারা ।
2014 সালে ব্লক এবং পৌরসভা ভিত্তিক একটি করে 'কর্মতীর্থ'-তৈরির কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । মূলত, স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও দরিদ্র ব্যবসায়ীরা নিজেদের পণ্য বিক্রি করতে পারবেন এখানে । সেই উদ্দেশ্যেই বারাসত চাঁপাডালি মোড়ে তৈরির কাজ চলছিল কর্মতীর্থ প্রকল্পের দোকানঘর । তৃণমূল আমলে বিগত পৌরবোর্ডের শেষদিকে সরকারি সহায়তায় শুরু হয় কর্মতীর্থ প্রকল্পের কাজ । এর জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল 2 কোটি 91 লক্ষ টাকা। পৌরসভার নিজস্ব জমিতেই গড়ে উঠেছে তিনতলা বিশিষ্ট এই 'কর্মতীর্থ'। প্রকল্পের নিচের তলার কাজ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে । দোতলা এবং তৃতীয় তলার কাজও সম্পন্ন হওয়ার মুখে ।
কর্মতীর্থের নিচের তলায় রয়েছে প্রায় 45টি দোকানঘর । দোতলায় রয়েছে অন্তত 46টি দোকান । এছাড়া তিনতলায় হবে আরও বেশ কয়েকটি দোকানঘর । প্রথমে কর্মতীর্থের কাজ জোরকদমে হলেও পরে তা ধীরগতিতে চলছে বলে অভিযোগ । যার ফলে দোতলা এবং তিনতলার কাজ শেষ হয়নি এখনও । তবে, নিচের তলার অধিকাংশ দোকানঘর সম্পন্ন হয়ে গেলেও তা ফেলে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে । সেই দোকানঘর হস্তান্তর কিংবা তা চালু করার প্রয়োজন মনে করেনি জেলা প্রশাসন । ফলে, সরকারি প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে ন্যায্য উপভোক্তাদের অভিযোগ এমনটাই ।