বিধাননগর, 6 নভেম্বর:তাঁর কাছ থেকে ইডির তদন্তকারীরা কিছু নথি চেয়েছিলেন, তিনি তা জমা দিয়েছেন ৷ কিন্তু কোনও জিজ্ঞাসাবাদ এদিন হয়নি ৷ দীর্ঘ প্রায় 6 ঘণ্টা পর সোমবার বিকেলে সল্টলেকের ইডি দফতর (সিজিও কমপ্লেক্স) থেকে হাসতে হাসতে বেরিয়ে এমনই দাবি করলেন কামারহাটি পৌরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা ৷ ইডির তলব পেয়ে এদিন সকালেই সল্টলেকের ইডি দফতরে যান কামারহাটি পৌরসভার চেয়ারম্যান ৷ পৌরনিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এদিন তাঁকে ডেকে পাঠায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
এর আগে ইডির আধিকারিকরা রাজ্যে বিভিন্ন পৌরসভা এবং পৌরসভার চেয়ারম্যানদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে এই দুর্নীতি মামলায় ৷ বাজেয়াপ্ত হয়েছে বিভিন্ন পৌরসভার কাগজপত্র এবং ডিজিটাল নথি ৷ তল্লাশি চালানো হয়েছিল কামারহাটি পৌরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহার বাড়িতেও ৷ সেখান থেকে একাধিক নথি এবং চেয়ারম্যানের দুটি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছিলেন ইডি আধিকারিকরা ৷
এরপর এদিন সিজিও কমপ্লেক্সের ইডি দফতরে ডাকা হয় কামারহাটি পৌরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহাকে ৷ এদিন সকাল সাড়ে 9টা নাগাদ গোপাল সাহা আসেনি ইডি দফতরে ৷ প্রায় ছয় ঘন্টা ধরে গোপাল সহাকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি জেরা করে বলে সূত্রের খবর ৷ কামারহাটি পৌরসভা এবং তাঁর বাড়ি থেকে যেসব নথি উদ্ধার হয়েছে সেই সমস্ত তথ্য যাচাই করার জন্য গোপাল সাহাকে দেওয়া হয় এদিন ৷ ইডি সূত্রের খবর, কামারহাটি পৌরসভাতে গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি পদে যে নিয়োগ হয়েছে, সেখানে অযোগ্য প্রার্থীরা কী করে চাকরি পেলেন, কে বা কারা এই নিয়োগ করিয়েছে, এই সমস্ত বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় তাঁকে ৷
আরও পড়ুন: ইডির স্ক্যানারে এবার একাধিক পৌরসভার প্রায় দেড় হাজার চাকুরিজীবী
যদিও এদিন ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে গোপাল সাহা বলেন, "কিছু নথি চেয়েছিলাম, সেটা দিতে এসেছিলাম ৷ চা খেলাম ৷ কোনও প্রশ্ন করা হয়নি আজ ৷ আবার ডাকলে আসব, তদন্তে সহযোগিতা করব ৷"