পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

Jay Prakash Majumdar: 'গণশত্রু হিসেবে চিহ্নিত হবে', ডিএ নিয়ে বিস্ফোরক তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ

রাজ‍্য সরকারের কপালে বন্দুক ঠেকিয়ে ব্ল্যাকমেল করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি জয়প্রকাশ মজুমদার (Jay Prakash Majumdar) ৷ সিপিএমের কয়েকজন কর্মচারী এই কাজ করছেন বলে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন এই তৃণমূল নেতা ।

By

Published : Feb 19, 2023, 9:25 PM IST

Jay Prakash Majumdar ETV Bharat
জয়প্রকাশ মজুমদার

ডিএ নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের

দত্তপুকুর, 19 ফেব্রুয়ারি: "সিপিএমের কয়েকজন কর্মচারী রাজ‍্য সরকারের কপালে বন্দুক ঠেকিয়ে ব্ল্যাকমেল করার চেষ্টা করছে । তাই সরকার নরম নয় ! এদের ধমকি, চমকিতে সরকার চলবে না ।" ডিএ নিয়ে কর্মচারী সংগঠনের যৌথ মঞ্চের কর্মবিরতিতে যাওয়া প্রসঙ্গে এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন তৃণমূলের রাজ‍্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার (TMC Leader Jay Prakash Majumdar) ।

রবিবার উত্তর 14 পরগনার দত্তপুকুরের খিলকাপুরে সংখ্যালঘু সেলের দলীয় এক সম্মেলনে হাজির হন তিনি । সেই সম্মেলনের ফাঁকে ডিএ-র দাবিতে সরকারি কর্মচারীদের লাগাতার আন্দোলন প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, "সরকারি কর্মচারীদের বলা হয় পাবলিক সার্ভেন্ট ! পাবলিকের কাজ না-করে তাঁরা পাবলিকের কাজ আটকাতে চাইছে । এরা চিহ্নিত হবে গণশত্রু হিসেবে ৷"

জয়প্রকাশ দাবি করেন, সব সরকারি কর্মচারী নয় । সিপিএমের একটা অংশ চাইছে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সরকারের উন্নয়নের গতিকে স্তব্ধ করতে । সেই কারণে রাস্তায় নেমেছে আন্দোলন করতে । ডিএ মৌলিক অধিকার নাকি অধিকার নয়, সেটা তো সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন । তার জন্য তো অপেক্ষা করতে হবে বলে তিনি জানান । জয়প্রকাশ বলেন, "আসলে ওরা জানে ডিএ মামলায় দেশের সবোর্চ্চ আদালতে হেরে যাবে । তাই, ষড়যন্ত্র করে রাজ‍্য সরকারের বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্পগুলি আটকে দিতে চাইছে সরকারি কর্মচারীদের একাংশ । যাতে মানুষ তার সুবিধা ঠিকমতো না-পায় । এই ষড়যন্ত্রে আবার সামিল হয়েছে বিজেপিও ৷"

এই ইস্যুতে সিপিএম এবং বিজেপিকে এক সারিতে রেখে তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার আক্রমণ সাধেন ৷ তিনি জানান, একদিকে বিজেপির নেতারা কেন্দ্রীয় সরকারকে বলছে, রাজ‍্যের প্রাপ্য টাকা না দিতে । অন‍্যদিকে, সিপিএমের নেতারা তাঁদের কতিপয় কর্মচারী সংগঠনকে মাঠে নামিয়ে বলছে,সরকারের উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলি আটকে দিতে হবে । দু'জনেরই লক্ষ্য বাংলা সাড়ে দশ কোটি মানুষ । ষড়যন্ত্র করে বাংলার মানুষের পেটে লাথি মারতে চাইছে এরা বলে তাঁর দাবি ।

এদিকে, পাবলিক সার্ভেন্ট হয়েও কীভাবে তাঁরা রাস্তায় বসে থেকে আন্দোলন করতে পারেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শাসক দলের এই নেতা । জয়প্রকাশের কথায়, পাবলিক সার্ভেন্ট মানে জনসাধারণকে পরিষেবা দেওয়া ! তা না-করে বসে থেকে বলছে আরও টাকা দিতে হবে । ত‍েলা মাথায় তেল দেওয়ার কথা বলছে । এভাবে তো কোনও সরকার চলতে পারে না । তাই সরকার পরিষ্কার বলে দিয়েছে,পাবলিক সার্ভেন্ট হয়ে কাজ করতে পারলে করো, নয়তো সরকার যা পদক্ষেপ নেওয়ার তা নেবে । রাজ‍্য সরকার সবার আগে প্রাধান্য দেবে বাংলা সাড়ে দশ কোটি মানুষকে । কারণ তাঁদের নিয়েই সরকার চলে । তাই কর্মচারীরা প্রাধান্য পাবেন পরে বলে তিনি জানান ।

অন‍্যদিকে, প্রাপ্য ডিএ না-মেটানো হলে ইতিমধ্যে সরকারি কর্মচারীদের একাংশ পঞ্চায়েত ভোটে অংশ নেবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন । সেই প্রসঙ্গে জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, "অংশ নেবেন না কী করার আছে তাতে ! সাধারণ মানুষকে নিয়েই পঞ্চায়েত ভোট হবে । কাকে এরা ধমকি দিচ্ছে । এভাবে কী ধমকি দেওয়া যায় নাকি ! এরপর মানুষ ক্ষেপে গিয়ে যদি বলতে থাকে, এদের সরকারি চাকরির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হোক ! বাইরে বহু লোক রয়েছে চাকরি নেওয়ার জন্য । যদি সাহস থাকে চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়ে তারপরে আন্দোলন করুক । তখন বুঝব, সিপিএম নেতাদের ক্ষমতা আছে ৷"

আরও পড়ুন:ললিপপ চাই না, 3 শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণায় খুশি নন বিক্ষোভকারীরা

ABOUT THE AUTHOR

...view details