পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

Ragging in Jadavpur University: যাদবপুরে ব়্যাগিংয়ের জেরে ইঞ্জিনিয়ার হয়ে ওঠা হয়নি সোমনাথের - Ragging on Engineering Student

ব়্যাগিংয়ের জেরে মাঝপথেই পড়াশোনা বন্ধ করে বাড়ি ফিরে আসেন বারাসতের সোমনাথ । প্রায় 10 বছর পরও সুবিচার পাননি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এই পড়ুয়া । সুবিচার পেতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন এখনও । বৃহস্পতিবার তাঁর ঘটনা তুলে ধরল ইটিভি ভারত ৷

Etv Bharat
Etv Bharat

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Aug 24, 2023, 10:53 PM IST

ব়্যাগিংয়ের জেরে ইঞ্জিনিয়ার হয়ে ওঠা হয়নি সোমনাথের

বারাসত, 24 অগস্ট: যাদবপুরকাণ্ডে যখন রাজ‍্য-রাজনীতি তোলপাড়। ঠিক তখনই আরও এক শিহরণ জাগানো ঘটনা সামনে এল। যাদবপুরের প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মতো শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে বারাসতের বাসিন্দা সোমনাথ দে-কে। একসময় তিনি যাদবপুরেরই সল্টলেক ক‍্যাম্পাসের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পড়ুয়া ছিলেন। সেখানেই সিনিয়র দাদা এবং প্রাক্তনীদের লাগাতার অত‍্যাচার সহ‍্য করতে না-পেরে পড়াশোনা ফেলে মাঝপথে বাড়ি ফিরে আসতে বাধ‍্য হয়েছেন সোমনাথ।

ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে যাদবপুরের সল্টলেক ক‍্যাম্পাসে ভরতি হলেও র‍্যাগিংয়ের জেরে পুরো কোর্স সম্পূর্ণ করতে পারেননি তিনি। এমনই অভিযোগ তুলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থেকে ইউজিসির অ্যান্টি ব়্যাগিং কমিটির কাছে বারবার দরবার করেছেন ভুক্তভোগী পড়ুয়া। কিন্তু, 10 বছর পরও সেই নির্যাতনের সুবিচার তিনি পাননি বলে অভিযোগ। তবে, এখনও তিনি মনেপ্রাণে চান, দোষীদের সাজা হোক।

তিনি বলেন, "সুবিচার পেতে বারবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং ইউজিসি-র অ্যান্টি ব়্যাগিং কমিটির কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চারবার বৈঠকও করেছিল। কিন্তু, অভিযুক্তদের শাস্তি দেওয়ার বদলে আমাকেই পরামর্শ দেয় বিষয়টি মিটমাট করে নেওয়ার জন্য। ফলে, এখনও তা নিয়ে কোনও সুরাহা হয়নি। বারবার প্রশাসন এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের যাচ্ছি। কিন্তু, খালি হাতে ফিরে আসতে হচ্ছে। জানি না সুবিচার পাব কি না! তবে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। আমি চাই ব‍্যাচেলার অফ প্রিন্টিং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শেষ দু'বছরের কোর্স সম্পূর্ণ করতে সহযোগিতা করুক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।"

বারাসত পৌরসভার 17 নম্বর ওয়ার্ডের কালিকাপুরে বাড়ি সোমনাথের। অত‍্যন্ত মেধাবী বছর 35-র এই যুবক। ছোটবেলায় বাবাকে হারিয়েছেন। মা গীতা দে অনেক কষ্ট করে পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছেন তাঁর। 2007-08 জয়েন্ট এন্ট্রান্স দিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাচেলার অফ প্রিন্টিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভরতি হন তিনি। 2014 সালে হস্টেল ছেড়ে বাড়ি ফিরে আসতে বাধ্য হন সোমনাথ ৷

এদিকে, বিষয়টি নিয়ে বারাসত পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তাপস দাশগুপ্ত বলেন, "বিষয়টি আমার ঠিক জানা নেই। তবে এরকম ঘটনা যদি হয়ে থাকে তার বিচার অবশ্যই পাওয়া উচিত। ওই পড়ুয়াকে বলব, মুখ্যমন্ত্রীর তৈরি করা অ্যান্টি ব়্যাগিং হেল্পলাইন যোগাযোগ করতে। আশা করি, সে নিশ্চয় এর প্রতিকার পাবে। আমরাও ওর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করব! যাতে এর একটা বিহিত হয়।"

আরও পড়ুন:যাদবপুরে সিসিটিভির ভবিষ্যৎ কর্ম সমিতির সিদ্ধান্তের হাতে, জানালেন নয়া উপাচার্য

ABOUT THE AUTHOR

...view details