বারাসত, 24 অগস্ট: যাদবপুরকাণ্ডে যখন রাজ্য-রাজনীতি তোলপাড়। ঠিক তখনই আরও এক শিহরণ জাগানো ঘটনা সামনে এল। যাদবপুরের প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মতো শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে বারাসতের বাসিন্দা সোমনাথ দে-কে। একসময় তিনি যাদবপুরেরই সল্টলেক ক্যাম্পাসের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পড়ুয়া ছিলেন। সেখানেই সিনিয়র দাদা এবং প্রাক্তনীদের লাগাতার অত্যাচার সহ্য করতে না-পেরে পড়াশোনা ফেলে মাঝপথে বাড়ি ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছেন সোমনাথ।
ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে যাদবপুরের সল্টলেক ক্যাম্পাসে ভরতি হলেও র্যাগিংয়ের জেরে পুরো কোর্স সম্পূর্ণ করতে পারেননি তিনি। এমনই অভিযোগ তুলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থেকে ইউজিসির অ্যান্টি ব়্যাগিং কমিটির কাছে বারবার দরবার করেছেন ভুক্তভোগী পড়ুয়া। কিন্তু, 10 বছর পরও সেই নির্যাতনের সুবিচার তিনি পাননি বলে অভিযোগ। তবে, এখনও তিনি মনেপ্রাণে চান, দোষীদের সাজা হোক।
তিনি বলেন, "সুবিচার পেতে বারবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং ইউজিসি-র অ্যান্টি ব়্যাগিং কমিটির কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চারবার বৈঠকও করেছিল। কিন্তু, অভিযুক্তদের শাস্তি দেওয়ার বদলে আমাকেই পরামর্শ দেয় বিষয়টি মিটমাট করে নেওয়ার জন্য। ফলে, এখনও তা নিয়ে কোনও সুরাহা হয়নি। বারবার প্রশাসন এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের যাচ্ছি। কিন্তু, খালি হাতে ফিরে আসতে হচ্ছে। জানি না সুবিচার পাব কি না! তবে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। আমি চাই ব্যাচেলার অফ প্রিন্টিং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শেষ দু'বছরের কোর্স সম্পূর্ণ করতে সহযোগিতা করুক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।"