বিধাননগর, 5 ফেব্রুয়ারি: গেস্ট হাউসে বসে পর্নোগ্রাফি শ্যুট । অনলাইন সেক্স ভিডিয়ো ও বিভিন্ন গেস্ট হাউসে তরুণী পাঠিয়ে বিধাননগর থেকে চলত আন্তর্জাতিক যৌন চক্র। এক তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার গ্রেফতার হল সেই চক্রের মিডলম্যান নারায়ণ দাস (International Sex Racket Middleman Arrested)। রেস্টুরেন্টে কাজের পাশাপাশি বাংলাদেশ ও নেপাল-সহ ভিন রাজ্য থেকে তরুণী নিয়ে এসে তাদের জোর করে আটকে রেখে নারায়ণ এই ব্যবসা চালাত বলে অভিযোগ। তবে এই ব্যবসায় নারায়ণ ছাড়াও বড় বড় মাথার যোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন অভিযোগকারিনী। মূল পাণ্ডার খোঁজে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট। ঘটনার তদন্তে বিধাননগর গোয়েন্দা শাখার পুলিশ (Crime at Bidhannagar)।
তরুণীর অভিযোগ:
4 জানুয়ারি কাজের জন্য বিএল 82 গেস্ট হাউসে আসি । এখানেই আমাকে থাকতে বলা হয়েছিল । আমি বুঝতে পারি যে ওখানে লুকোনো ক্যামেরা লাগানো রয়েছে । তার মানেই ওখানে বেআইনি কিছু হচ্ছে । ওখানে যারা ক্লায়েন্ট আসে তাদের দিয়ে পর্ন ভিডিয়োর ব্যবসা হয় ৷ এছাড়াও ড্রাগ নেওয়াও চলে এখানে । মেয়েদের এমএমএস বানিয়ে সেই ভিডিয়োর লাইভ সম্প্রচার করা হয় । ছয়-সাত দিন থাকার পর নারায়ণ দাস অন্য একটি গেস্ট হাউসে নিয়ে যায় আমায় । সেখানেও পর্ন বানানো হয়। শুধু ভারতের মধ্যেই নয়, বিদেশেও ওরা সম্প্রচার করে এই সব ভিডিয়ো এবং চেন মারফত চলে পর্ন ব্যবসা ৷ এর সঙ্গে অনেকেই যুক্ত আছে। নারায়ণ দাস ওটা দেখাশোনা করে এবং মেয়েদের পরিচালনা করার কাজ করে । এছাড়া আরও অনেকে আছে । তিনটি মেয়ের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল যাদের আনা হয় দিল্লি, গুরগাঁও ও হরিয়ানা থেকে ৷ এর মধ্যে একজন ছিল ভোজপুরি সিনেমার আইটেম গার্ল । সেখানেই অনেকে আসে ও ড্রাগ নেয় । আমি কাজের খোঁজে এসেছিলাম । এখানে মেয়েদের অজান্তে পর্ন ভিডিয়োর ব্যবসা হয় । আসলে যে কাজের জন্য নেওয়া হয় সেটা হয় না । নারায়ণ দাস ছয়-সাত দিনের মাথায় অন্য গেস্ট হাউসে নিয়ে যায় সেখানে অনেকেই ওদের চেনা শোনা আসত । তার মধ্যে দু'জন ভিডিয়ো কল করে একটা লন্ডনে একটা বাংলাদেশে । আমাকে পরিচয় করিয়ে দেয় । এরপর 1 ফেব্রুয়ারি অভিযোগ করি থানায় । আমি চাই যাদের নাম অভিযোগপত্রে লিখেছি তারা গ্রেফতার হোক । এর সঙ্গে যারা জড়িত তাদের সবাইকে গ্রেফতার করুক পুলিশ ৷ এই নোংরা ব্যবসা বন্ধ হোক ৷
অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশি পদক্ষেপ: