দেগঙ্গা, 27 সেপ্টেম্বর : টাকার লেনদেন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে উত্তপ্ত উত্তর 24 পরগনার দেগঙ্গা ৷ হামলা, মারধরের অভিযোগ এক পক্ষ অপরের বিরুদ্ধে ৷ অভিযোগ, বন্দুকের বাঁট দিয়ে মারা হয় যুব তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি জাকির হোসেনকে ৷ তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন আরও তিন তৃণমূল কর্মী ৷ ঘটনার প্রতিবাদে টাকি রোড সাময়িক অবরোধ করে তৃণমূল কর্মীদের একাংশ ৷ অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ায় তৃণমূল কর্মীদের একাংশ ৷ পরে জোর করেই অবরোধ তুলে দেওয়া হয় ৷ গতকাল দুপুরে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে দেগঙ্গা থানায় অভিযোগ দায়ের হয় ৷ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷ গ্রেপ্তার 1 ৷
জাহির ও হাসানুর, দুই তৃণমূল কর্মীর মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরেই টাকার লেনদেন নিয়ে বিবাদ চলছিল ৷ দলের নেতাদের হস্তক্ষেপে সেই বিবাদ মিটে গেলেও বুধবার রাতে ফের বিবাদে জড়ায় দু'পক্ষ ৷ এরপরই বিবাদ মেটাতে দেগঙ্গার বেড়াচাপার বাদুড়িয়া মোড়ে একটি জায়গায় দু'পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব ৷ সেই আলোচনা সভায় হাজির ছিলেন বেড়াচাপা 1 নম্বর অঞ্চলের যুব তৃণমূলের সভাপতি জাকির হোসেন ৷ আলোচনা চলাকালীন আচমকাই জাহির ও তার দলবল হামলা চালায় বলে অভিযোগ ৷ মারধর করা হয় হাসানুরকে ৷ প্রতিহত করতে গেলে রিভলবারের বাঁট দিয়ে বেধড়ক মারাধর করা হয় জাকিরকে ৷ তাঁকে বাঁচাতে এসে আক্রান্ত হন হাফিজুল মণ্ডল, সামিউদ্দিন, সাহাজাদা মণ্ডল নামে আরও তিন দলীয় কর্মী ৷ বন্দুকের বাঁটের মারে মাথা ফাটে হাফিজুলের ৷ অন্য দু'জন জখম হয় ৷ আঘাত লাগে হাতে ৷ ঘটনার পর বাকি হামলাকারীরা পালাতে সমর্থ হলেও জাহির ধরা পড়ে যায় ৷ উত্তেজিত জনতা তাকে মারধর করে ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে পৌঁছায় পুলিশ ৷ মারমুখী জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে জাহিরকে ৷ নিয়ে যাওয়া হয় দেগঙ্গা থানায় ৷ এ দিকে জখম জাকির হোসেন-সহ ওই তিন তৃণমূল কর্মীকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় দেগঙ্গার বিশ্বনাথপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ৷ প্রাথমিক চিকিৎসার পর প্রত্যেককে ছেড়ে দেওয়া হয় ৷