বারাসত, 30 জুন : বারাসতে রিজেন্ট এলাকা থেকে শুঁটিখাল পর্যন্ত একটি ড্রেন তৈরির দাবি জানিয়ে আসছিলেন স্থানীয়রা ৷ বারাসত ১নম্বর ব্লকের ছোটজাগুলিয়া অঞ্চলের বামনগাছি মুরালি কাজিপাড়া এলাকায় বৃষ্টি হলেই জল জমে ৷ এর ফলে স্থানীয় তিন-চারটি গ্রামের মানুষ প্রত্য়েক বছর বর্ষায় সমস্যায় পড়েন ৷ আর জমির ফসলও নষ্ট হয়ে যায় ৷ এই ড্রেন তৈরির দাবিতে দীর্ঘ চার-পাঁচ বছর ধরে আন্দোলন করেছেন গ্রামবাসীরা, কখনও বা পথ অবরোধ করে তাদের প্রয়োজনের কথা প্রশাসনকে জানানোর চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন ৷ আপাতত জল বার করে দেওয়ার জন্য একটা মাঠ দিয়ে রাস্তা তৈরি করে দেওয়া হয়েছে, জানালেন গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য আবদুল খালেদ পেয়াদা ৷ তবে এবার স্থানীয়দের আন্দোলনের ফলে ড্রেন তৈরির জন্য় মাপজোখ শুরু হয়েছে ৷
আরও পড়ুন : রায়গঞ্জের দুঃস্থ বাউল শিল্পীদের পাশে বিজেপি বিধায়ক
অবশেষে স্থানীয়দের দাবি মেনে ন্যাশনাল হাইওয়ে দফতরের আধিকারিক, ছোট জাগুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত, বারাসাত ১ নম্বর ব্লক পঞ্চায়েত সমিতি এবং বারাসাত পৌরসভার যৌথ উদ্যোগে সংশ্লিষ্ট জায়গাটি পরিদর্শন করেন আধিকারিকেরা ৷ শুরু হয়েছে মাপঝোখের কাজ ৷ আনুমানিক 1720 মিটার লম্বা হবে এই ড্রেন ৷ এই ড্রেন তৈরির রাস্তায় যে সমস্ত ঘরবাড়ি, দোকান আছে সেগুলির কী পরিণতি হবে, জিজ্ঞেস করায় আবদুল জানালেন, পিডব্লুউডি-র জমিতে যে সব বাড়ি, দোকান আছে, তাদের পদ্ধতি মেনে নোটিস পাঠানো হবে ৷ তারপর সবার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের রাস্তা বের করা হবে, আশ্বস্ত করেছেন তিনি ৷ তবে এই ড্রেনটা তৈরি হলে স্থানীয় কুলবেড়িয়া, বামনপাড়া, মণ্ডলগাছি, মুরারি-সহ কাছাকাছি বেশ কিছু গ্রামের তিনশো-চারশো পরিবার উপকৃত হবেন ৷ আর কমপক্ষে পাঁচশো একর জমির ফসল নষ্ট হচ্ছিল, তা থেকে রেহাই মিলবে, জানালেন আবদুল খালেদ ৷
বারাসতবাসীর দাবি মেনে রিজেন্ট থেকে শুঁটিখাল পর্যন্ত তৈরি হবে ড্রেন এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার জন্য তিনি ধন্যবাদ জানান এসডিও, বিডিও, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, পৌরসভার প্রধান, চেয়ারম্যান, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, প্রশাসনিক কর্তারা, আইসি এবং আরও যাঁরা এই কাজের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন, তাঁদের সকলকে কৃতজ্ঞতা জানালেন পঞ্চায়েত সদস্য আবদুল ৷ অঞ্চলের এসডিও ন্যাশনাল হাইওয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে, পৌরসভা, জেলাপরিষদ, পঞ্চায়েতের সঙ্গে বিডিও অফিসে একটি বৈঠক করেন ৷ তার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷ এই মাপজোখের পর একটা রিপোর্ট পাঠানো হবে, তার পর ছাড়পত্র মিললে কাজ শুরু হবে ৷ তিনি আশা করছেন পুজোর পরে এই ড্রেন নির্মাণের কাজ শুরু হবে ৷