দত্তপুকুর, 7 নভেম্বর : বছরভর তাঁরা আলোর প্রদীপ গড়েন । কোরোনা আবহে চলতি বছর সেই প্রদীপের নেই চাহিদা । আলোর উৎসব দীপাবলির মুখেও আঁধারে রয়েছেন সেই আলোর কারিগররাই । উত্তর 24 পরগনার দত্তপুকুর থানার পালপাড়া । 35 নম্বর জাতীয় সড়কের পাশের এক বিস্তীর্ণ মহল্লা । গোটা জেলায় এই পালপাড়া গ্রাম প্রদীপের গ্রাম হিসেবেই পরিচিত ।
গোটা গ্রামে ছোটো-বড় মিলিয়ে 400টি প্রদীপ তৈরির কারখানা রয়েছে । সেখানে কাজ করেন প্রায় দশ হাজার শ্রমিক । ফি বছর দীপাবলির আগে দত্তপুকুরের প্রদীপ ছড়িয়ে পড়ে মহারাষ্ট্র, গুজরাত, রাজস্থান ও দিল্লি-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে । কালীপুজোর পনেরো দিন আগে থেকেই ভিনরাজ্যের গাড়ির লাইন পড়ে যায় যশোর রোডের দু'পাশে । পুজোর মুখে যশোর রোডের দু'পাশ দিয়ে তাই সার দিয়ে প্রদীপের দোকান বসে যায় ।
কিন্তু এবছর দেশজুড়ে কোরোনা আবহ । চলতি বছর বাঙালির সব চেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপুজো হয়েছে নমো নমো করে । কালীপুজো নিয়ে কিছুটা আশায় বুক বেঁধেছিলেন প্রদীপ কারখানার মালিকরা । কিন্তু সব আশায় ছাই । দুর্গাপুজোর মতো কালীপুজোতেও ভাটার টান । কোনও আবেগ নেই । মহারাষ্ট্র, গুজরাত, রাজস্থান বা দিল্লি থেকে গাড়ি আসেনি । কোনও বড় বরাতও মেলেনি । স্থানীয় অল্প কিছু চাহিদা রয়েছে । দীপাবলিতে বাঙালিরাও ঘরে প্রদীপ জ্বালেন । সেই আশায় রাস্তার পাশে সার দিয়ে প্রদীপের পসরা সাজিয়েছেন কারখানার মালিকরা । কিন্তু ক্রেতার দেখা নেই বললেই চলে । চলতি পথে দু'একজন মোটর বাইক থামিয়ে অল্প কিছু প্রদীপ কিনছেন বটে । কিন্তু তা দিয়ে সংসার চলে না ।