মধ্যমগ্রাম, 24 অগাস্ট : পঞ্চম শ্রেণীতে ভরতি সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে উত্তর 24 পরগনার মধ্যমগ্রাম উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকাকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন অবিভাবকরা । বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, জেলা স্কুল পরিদর্শকের নির্দেশের পরেও প্রায় 115 জনকে পঞ্চম শ্রেণিতে ভরতি নেওয়া হচ্ছে না ওই স্কুলে ।
যদিও অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, “বাংলা শিক্ষা পোর্টাল থেকে অনলাইন ট্রান্সফার সার্টিফিকেট আনা জরুরি । বিষয়টি আগেই অভিভাবকদের জানানো হয়েছিল । কিন্তু, ভরতির সময় অনেকেই ট্রান্সফার সার্টিফিকেট আনেননি ।” পরে পরিচালন কমিটির আশ্বাসে অভিভাবকরা বিক্ষোভ তুলে নেন ।
প্রসঙ্গত, লকডাউনের আগেই মধ্যমগ্রাম উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে ভরতি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল । লটারির মাধ্যমে ও শিক্ষা দপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী বাংলা শিক্ষা পোর্টাল থেকে অনলাইন ট্রান্সফার সার্টিফিকেট নিয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়াদের একাংশ ভরতিও হয় মার্চের শুরুতে । কিন্তু লটারিতে বাদ যায় অনেক পড়ুয়ার নাম । তাদের অবিভাবকরা জেলা স্কুল পরিদর্শকের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ।এরপর তাঁর হস্তক্ষেপে প্রায় 115 জন পড়ুয়ার নামের লিস্টও বেরিয়েছিল DI অফিস থেকে । কিন্তু, তারপরই উচ্চ-মাধ্যমিক পরীক্ষা ও পরে কোরোনার জেরে লকডাউন শুরু হওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় স্কুল ।ফলে অনেকেরই ভরতি আটকে যায় ।
আজ সকালে ফের স্কুলে ভরতি করাতে আসেন অনেকে । অভিযোগ, তখন অভিভাবকদের বলা হয়, অনলাইন ট্রান্সফার সার্টিফিকেট না আনা হলে ভরতি নেওয়া হবে না । এরপরই প্রধান শিক্ষিকাকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন উত্তেজিত অভিভাবকদের একাংশ ।স্কুলেই দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখা হয় প্রধান শিক্ষিকাকে । পরে স্কুল পরিচালন কমিটির সভাপতি মিহির পালের আশ্বাসে বিক্ষোভ তুলে নেন অভিভাবকরা । ঘেরাও মুক্ত হন প্রধান শিক্ষিকা ।
এই বিষয়ে স্কুলের পরিচালন কমিটির সভাপতি মিহির পাল বলেন, “সরকারের নিয়ম অনুযায়ী পঞ্চম শ্রেণীতে ভরতির জন্য বাংলা শিক্ষা পোর্টাল থেকে অনলাইন ট্রান্সফার সার্টিফিকেট আনা জরুরি । DI অফিসের তালিকায় যে পড়ুয়াদের নাম ছিল, এদিন তাদের অভিভাবকরা অনলাইন ট্রান্সফার সার্টিফিকেট আনতে না পারায় ভরতি নেওয়া সম্ভব হয়নি ।আমরা অবিভাবকদের ভরতির জন্য ফের 28 অগাস্ট আসতে বলেছি ।” মধ্যমগ্রামের বিধায়ক ও পৌরসভার প্রশাসক রথীন ঘোষ বলেন, “সমস্ত পড়ুয়া যাতে পঞ্চম শ্রেণীতে ভরতি হতে পারে, সেই বিষয়টি স্কুল পরিচালন কমিটির সভাপতিকে দেখতে বলা হয়েছে ।”