ব্যারাকপুর, 13 মে : "মদন মিত্রের মতো লোক স্বামী বিবেকানন্দকে চেনেন একথা জানলে স্বামী বিবেকানন্দ কষ্ট পাবেন ।" আজ ETV ভারতকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে একথা বললেন অর্জুন সিং । অভিযোগ ওঠে, ভোটের (ভাটপাড়া উপনির্বাচন) জন্য শেখ বিনোদ নামে এক দুষ্কৃতীর সঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছেন মদন । এবিষয়ে মদন অবশ্য বলেন, "আমি শেখ বিনোদকে চিনি না । স্বামী বিবেকানন্দকে চিনি ।"
মদনের দাবি, উপনির্বাচনের দিন ভাটপাড়ায় গন্ডগোলের জেরে বহু মানুষের মৃত্যু হতে পারে । অর্জুন সিং নিজের ছেলেকে জেতানোর জন্য বহিরাগত দুষ্কৃতীদের নিয়ে আসে সন্ত্রাস চালাতে পারেন । তাই তাঁকে গৃহবন্দী করার দাবিতে ব্যারাকপুর মহকুমাশাসকের কাছে স্মারকলিপি জমা দিলেন ভাটপাড়ার তৃণমূল প্রার্থী মদন মিত্র । অপরদিকে, মদন মিত্রের এই অভিযোগ অস্বীকার করে অর্জুন বলেন, "হতাশা থেকে একথা বলছেন মদনবাবু ।"
ভাটপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ও BJP রাজনৈতিক তরজা অব্যহত। এই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মদন মিত্র ও BJP প্রার্থী অর্জুন পুত্র পবন সিং । পবনের ব্যাপারে তেমন কোনও আগ্রহ না থাকলেও অর্জুনকে আক্রমণের নিশানা বেশ কয়েকবার বানিয়েছেন মদন । অভিযোগ এনেছেন, নির্বাচনের দিন নিজের পুত্রকে জেতানোর জন্য নানা কৌশল অবলম্বন করতে পারেন অর্জুন । প্রয়োজনে বহিরাগত দুষ্কৃতী নিয়ে এলাকায় সন্ত্রাসও চালাতে পারেন । এই আশঙ্কায় কমিশনের কাছে অর্জুনকে বারবার গৃহবন্দী করার দাবি জানিয়েছিলেন মদন । আজ ফের তিনি অর্জুন সিংকে গৃহবন্দী করার দাবি তুলে মহকুমাশাসকের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন । মদনবাবু বলেন, "আমি SDO-কে জানিয়েছি, ভাটপাড়ায় একটা গন্ডগোল হতে পারে । এর জেরে বহু মানুষের মৃত্যু হতে পারে । ভাটপাড়ায় নির্বাচনের দিন অর্জুন সিং যেন ঘোরাফেরা না করেন ।"
পালটা অর্জুন বলেন, "মদন মিত্র এখানকার ভগবান নন । উনি কামারহাটি, মেটিয়াব্রুজ় থেকে অপরাধীদের নিয়ে আসছেন ভোটের জন্য । একজনও স্থানীয় নেই । গৃহবন্দী আমাকে করতে হবে ? আমি চারবারের MLA । আমার একটি রাজনৈতিক পরিচিতি আছে । ওঁর কি সারদা-নারদের পরিচিতি আছে ? উনি তো তিনবছর জেল খেটেছেন । আর আমাকে গৃহবন্দী করার কথা বলছেন ।"
অর্জুন সিংকে গৃহবন্দী না করলে CEO অফিসে গিয়ে ধরনা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন মদনবাবু । এপ্রসঙ্গে অর্জুন সিং বলেন, "CEO অফিসে গিয়ে ধরনা দেওয়া ছোটো ব্যাপার হয়ে যাবে । আমাকে গৃহবন্দী না করলে ওঁর আত্মহত্যা করা উচিত । একটা লোক সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মদ খায় । উনি হতাশা থেকে একথা বলছেন ।"