ব্যারাকপুর, 31 অগস্ট : করোনা আক্রান্ত ছিল না ইছাপুরের বাসিন্দা, দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র শুভ্রজিৎ চট্টোপাধ্যায় ৷ আরটি-পিসিআর রিপোর্ট আসার পর এমনটাই জানা গেল ৷ গত বছর 10 জুলাই অসুস্থ শুভ্রজিৎকে কামারহাটি ইএসআই থেকে বেলঘড়িয়ার এক নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয় ৷ সেখান থেকে সাগরদত্ত মেডিক্যাল কলেজ হয়ে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে অসুস্থ শুভ্রজিৎকে নিয়ে ঘুরতে হয় তাঁর মা বাবাকে ৷ যেখানে অভিযোগ উঠেছিল বেলঘড়িয়ার নার্সিংহোম করোনা পরীক্ষার জন্য রক্তের নমুনা নিয়েছিল এবং কয়েকঘণ্টা পরে সাদা কাগজে কোভিড পজিটিভ লিখে ভর্তি না করে ফেরত পাঠিয়ে দেয় ৷ পরবর্তী সময়ে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হলে 11 তারিখ ভোররাতে মৃত্যু হয় শুভ্রজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের ৷
কিন্তু, ছেলের মৃত্যু মেনে নিতে পারেননি শুভ্রজিতের মা ৷ তিনি ছেলের দেহ নিতে অস্বীকার করে, ময়নাতদন্তের দাবি জানান ৷ সেই মতো বেলঘড়িয়া থানায় কামারহাটি ইএসআই, বেলঘড়িয়ার নার্সিংহোম, সাগরদত্ত মেডিক্যাল কলেজ, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল এবং বেলঘড়িয়া থানার ওসি রতন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে যান ৷ সেখানে অভিযোগ দায়ের করা হলেও, বিষয়টি স্বাস্থ্য দফতরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল ৷ সেখান বিষয়টিকে 304এ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছিল ৷ কিন্তু, ওই ধারাটি মামলাকে লঘু করে দিয়েছিল ৷
আরও পড়ুন : Sourav Ganguly : করোনা আক্রান্ত সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মা, ভর্তি হাসপাতালে