স্বরূপনগর (উত্তর 24 পরগনা), 3 মে: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ফের অভিনব কায়দায় সোনার বিস্কুট পাচার রুখল বিএসএফ। ঘটনায় ধৃত আল মামুন নামে এক পাচারকারী। ধৃতের কাছ থেকে মিলেছে 10টি সোনার বিস্কুট। যার বাজারমূল্য প্রায় 75 লক্ষ টাকা। বুধবার এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর 24 পরগনার স্বরূপনগর থানার হাকিমপুর চেকপোস্ট সংলগ্ন এলাকায়।
বিএসএফ সূত্রে খবর, শরীরের নিম্নাঙ্গে সোনার বিস্কুটগুলো দড়ি দিয়ে বেঁধে সাইকেল নিয়ে সীমান্তের দিকে আসছিল ধৃত ওই পাচারকারী। যুবকের হাবভাব দেখে সন্দেহ হয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর 112 নম্বর ব্যাটেলিয়ানের জওয়ানদের। যুবককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই বেরিয়ে আসে আসল ঘটনা ৷ পাচারকারী যুবককে গ্রেফতার করেছে স্বরূপনগর থানার পুলিশ ৷ বাজেয়াপ্ত হওয়া বিপুল টাকার সোনার বিস্কুট তুলে দেওয়া হয়েছে তেঁতুলিয়া শুল্ক দফতরের হাতে।
আরও পড়ুন: কৃষ্ণ কল্যাণীর সঙ্গে ব্যবসায়ীক যোগ, শিলিগুড়িতে বহুজাতিক সংস্থার অফিসেও হানা কেন্দ্রীয় সংস্থার
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে পাচারের ঘটনা নতুন কিছু নয়। তবে, গত কয়েক মাসে সেই পাচারের ঘটনা তুলনামূলকভাবে বেড়েছে বলেই খবর বিএসএফ সূত্রে। বিশেষ করে বসিরহাট এবং স্বরূপনগরের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে চোরাপথে নানাভাবে বহু জিনিস পাচারের চেষ্টার ঘটনা সামনে এসেছে। তার মধ্যে সোনার বিস্কুট কিংবা রুপোর গয়না পাচারের চেষ্টা যেমন রয়েছে, তেমনই মাছের পোনা অথবা ফেনসিডিলের মতো সিরাপ পাচারের চেষ্টার ঘটনাও রয়েছে। যদিও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেই সমস্ত পাচারের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে বিএসএফের তৎপরতায়।
ফলে পাচারকারীরাও বেছে নিচ্ছে অভিনব পন্থা ৷ নিত্য নতুন পদ্ধতিতে চোরাচালানের ঘটনা বেড়ে চলায় উদ্বিগ্ন বিএসএফ কর্তারাও। সেই কারণে বাড়তি সর্তকতা নেওয়া হয়েছে সীমান্তবর্তী এলাকায়। সম্প্রতি স্বরূপনগরের কৈজুড়ি পঞ্চায়েতের দোবিলা সীমান্ত দিয়ে সোনার বিস্কুট পাচার করতে গিয়ে বিএসএফের জালে ধরা পড়েছিল এক যুবক। ঊরুতে পাঁচটি সোনার বিস্কুট সেলোটেপ দিয়ে বেঁধে পাচারের চেষ্টা করেছিল সে। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছিল সেই পাচার ৷
বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ত্রিশের ধৃত যুবক আল মামুনের বাড়ি স্বরূপনগরেরই স্বরূপদহ গ্রামে। আগেও তাঁর নাম জড়িয়েছিল পাচারের ঘটনায়। তাঁকে বেশ কয়েকদিন ধরেই নজরে রাখছিল বিএসএফ কর্মীরা ৷ ফলস্বরূপ বুধবারই পাচার করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ে পাচারকারী যুবক।