বারাসত, 19 সেপ্টেম্বর : কোরোনা আক্রান্ত সরকারি হোমের এক রক্ষীর পরিবারকে একঘরে করে রাখার অভিযোগ উঠল হোমেরই সুপারের বিরুদ্ধে । উঠেছে মানসিক নির্যাতন করার অভিযোগও । বিষয়টির প্রতিবাদ করেও কোনও সুরাহা হয়নি বলে জানিয়েছেন ওই কর্মী । উলটে আক্রান্তের পরিবারকে সহযোগিতা করা হলে হোমের অন্য সরকারি কর্মীদের শোকজ় করারও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে । যার ফলে দুর্বিষহ জীবনযাত্রার মধ্যে এখন দিন কাটছে কোরোনা আক্রান্তের পরিবারের । না পাচ্ছেন খাদ্য সামগ্রী । না পাচ্ছেন প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র । যদিও এই বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে কোনও কথায় বলতে রাজি হননি ওই সরকারি হোমের সুপার কৌশিক চট্টোপাধ্যায় ।
রাজ্য সরকারের তরফে বারবার যেখানে কোরোনা আক্রান্তের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্যের আবেদন জানানো হচ্ছে, সেখানে এক সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধেই উঠেছে কোরোনা আক্রান্তের পরিবারকে একঘরে করার অভিযোগ । জানা গেছে, বারাসতের এক সরকারি হোমের রক্ষীর দায়িত্বে রয়েছেন বিদ্যুৎ রায় (নাম পরিবর্তিত) । সপ্তাহ খানেক আগে তাঁর স্ত্রী ও ছোটো ছেলের কোরোনা রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে । স্ত্রী ও ছেলের রিপোর্ট পজ়িটিভ আসায় বিদ্যুৎবাবুও হোমের সরকারি হোম কোয়ারানটিনে রয়েছেন । অভিযোগ, তারপর থেকেই হোমের সুপারের নির্দেশে ওই সরকারি কর্মীর পরিবারকে একঘরে করে রাখা হয়েছে । ফলে না পাচ্ছেন ঠিক মতো খাদ্য সামগ্রী । আর না পাচ্ছেন প্রয়োজনীয় ওষুধ । ফলে বিপাকে পড়েছেন কোরোনা আক্রান্ত ওই সরকারি কর্মীর পরিবার । এমনকী হোমের অন্য সরকারি কর্মীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে কোরোনা আক্রান্ত সরকারি কর্মীর পরিবারকে সহযোগিতা করলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে । একজন সরকারি আধিকারিকের এমন আচরণে উঠছে প্রশ্ন ।
এই বিষয়ে ভুক্তভোগী ওই সরকারি কর্মী বলেন, "হোমের সুপারের নির্দেশে কেউ সহযোগিতার জন্য এগিয়ে আসছেন না । ফলে কোনও সাহায্য পাওয়া যাচ্ছে না হোম কর্তৃপক্ষের তরফে । বাধ্য হয়ে অনলাইনে কিছু খাদ্য সামগ্রী আনাতে হচ্ছে আমাদের ।" তাঁর অভিযোগ, " উনি(হোমের সুপার) যবে থেকে দায়িত্ব নিয়ে এখানে এসেছেন তখন থেকে দুর্ব্যবহার করছেন আমাদের সঙ্গে । হোমের দায়িত্ব নেওয়ার আগে উনি কোরোনা পরীক্ষা করেছিলেন কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে । কে বলতে পারে ওনার থেকে আমার পরিবার কোরোনায় আক্রান্ত হয়নি? কারণ উনি আসার পর হোমের পাঁচ জন আবাসিক কোরোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ।"