বসিরহাট, 8 সেপ্টেম্বর: বাগুইআটি জোড়া খুন কাণ্ডে অবশেষে ঘটনার 2 সপ্তাহ পর ঘুম ভাঙল হাড়োয়া থানার । অপহৃত দুই স্কুল পড়ুয়ার মৃতদেহ মেলার 15 দিনের মাথায় হাড়োয়ার কুলটি এলাকায় গিয়ে বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল ঘিরল সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশের আধিকারিকরা(haroa police cordoned off the place where 2 dead bodies recovered in baguiati case)। এদিন ঘটনাস্থলে আসে সিআইডি-র বারো জনের তদন্তকারী দল। সেখানে এসে নমুনা সংগ্রহ করেন তারা। দলে ছিলেন ফরেনসিক সদস্যরাও। ঘটনাস্থলের মাটি, জল-সহ বিভিন্ন ধরনের নমুনা সংগ্রহ করেন তদন্তকারীরা ।
কুলটি এলাকার একটি নয়ানজুলি থেকে গত 25 অগস্ট বাগুইআটির অপহৃত ছাত্র অতনু দে(15)-র নিথর দেহ উদ্ধার করে হাড়োয়া থানার পুলিশ । তার দু'দিন আগে অর্থাৎ 23 অগস্ট অপহৃত অপর এক স্কুল পড়ুয়া অভিষেক নস্কর(16)-এর দেহ মিলেছিল ন্যাজাট থানা এলাকা থেকে ।
পরবর্তী সময়ে উদ্ধার হওয়া দেহ দুটির জায়গা হয় বসিরহাট জেলা হাসপাতালের মর্গে(Baguiati Double Murder Incident)। সেখানে ময়নাতদন্ত ছাড়াই প্রায় 13 দিন ধরে বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে পড়েছিল অপহৃত ওই দুই ছাত্রের নিথর দেহ ।
দেহ উদ্ধারের পর শনাক্তকরণে দেরি হওয়া নিয়ে বসিরহাট জেলা পুলিশ ও বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের সমন্বয়ের অভাবের বিষয়টিও দেখা গিয়েছে(Haroa Police Station on Baguiati double murder)। এছাড়াও প্রশ্ন উঠছে অপহৃত দুই ছাত্র অতনু এবং ভাস্করের দেহ মেলার পরও কেন পুলিশ ভিন্ন দুটি ঘটনাস্থল ঘিরে না দিয়ে উন্মুক্ত করে রাখল ? এতে যে তথ্য প্রমাণ লোপাট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তা কি পুলিশ জানত না ? নাকি ঘটনার গুরুত্ব না দিয়ে শুধু দেহ উদ্ধারের প্রক্রিয়া সেরেই বিষয়টির দায় ঝেড়ে ফেলতে চেয়েছিল বসিরহাট জেলা পুলিশ ? এমনই সব প্রশ্ন উঠে আসছে ।