স্বরূপনগর, 1 জুলাই: বন দফতর কিংবা প্রশাসনের কোনও অনুমতি ছিল না । তা সত্বেও বিনা অনুমতিতে পঞ্চায়েতের নাকের ডগায় দিনেদুপুরে সরকারি গাছ কেটে চলছিল পাচারের চেষ্টা । নজরে আসতেই সেই চেষ্টা ভেস্তে দিলেন গ্রামবাসীরা । ঘটনাটি উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগরের । অভিযোগ, টেন্ডারের পুরনো অর্ডার কপি হাতিয়ার করে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বেশকিছু বহুমূল্য গাছ কেটে তা পাচারের মতলব করেছিল অসাধু কিছু ব্যাক্তি । কয়েকদিন ধরে সেই গাছ কাটার কাজ চললেও এতদিন নজরে আসেনি কারও । বৃহস্পতিবার তা নজরে আসতেই শোরগোল পড়ে এলাকায় । ঘটনায় স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান এবং বিডিও দোষারোপ করেছে এক অপরকে । শুরু হয়েছে চাপানউতোর । কীভাবে পঞ্চায়েত ও প্রশাসনের নজর এড়িয়ে সরকারি গাছ কেটে পাচারের চেষ্টা চলছিল, তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন ।
স্বরূপনগরের চারঘাট স্বাস্থ্যকেন্দ্র চত্বরে প্রাচীন মেহগনি, শিরীষ গাছ সহ বেশকিছু দুষ্প্রাপ্য গাছ লাগানো হয়েছিল প্রশাসনের তরফে । যার বাজারমূল্য আকাশছোঁয়া । এরমধ্যে কিছু গাছ উপড়ে পড়ে আমফান ঝড়ে । উপড়ে পড়া গাছ কেটে পরিষ্কার করার জন্য প্রশাসনের তরফে টেন্ডার ডাকা হয় । সেই টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গাছ কাটার অর্ডার পান কন্ট্রাক্টাররা । অভিযোগ,পুরনো সেই টেন্ডারের অর্ডার কপি হাতিয়ার করে স্বাস্থ্যকেন্দ্র চত্বরে বহুমূল্য বেশকিছু গাছ কাটার কাজ চলছিল কয়েকদিন ধরে । তবে,সেই কাজ করা হচ্ছিল একেবারে দিনের আলোতে। তারজন্য না ছিল বন দফতরের অনুমতি। আর না ছিল স্থানীয় প্রশাসনের কোনও অনুমতি । বিনা অনুমতিতে কিছু অসাধু ব্যাক্তি সেই গাছ কেটে পাচারের চেষ্টায় নেমেছিল বলে অভিযোগ উঠেছে । গাছ কেটে যখন ইঞ্জিন ভ্যানে তোলা হচ্ছিল তখনই গ্রামবাসীদের নজরে আসে বিষয়টি । এরপরই গাছ পাচার রুখে দেন তারা । ঘটনায় ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা সরব হন এই নিয়ে । ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য কার্তিক মণ্ডলও ।