পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

Flyover on National Highway: জাতীয় সড়কে বাড়ছে যানজট, 6 কিমি লম্বা ফ্লাইওভার তৈরির ভাবনা - The proposed Flyover could be

উত্তরবঙ্গ হোক অথবা দক্ষিণবঙ্গ। যোগাযোগ স্থাপনের অন‍্যতম মাধ্যম হল এই 34 নম্বর জাতীয় সড়ক। রাজ্যের দুই প্রান্তকে সংযুক্ত করেছে গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক। অন্য়দিকে আবার যশোর রোডও কম গুরুত্বপূর্ণ নয় ৷ 34 নম্বর জাতীয় সড়ক এবং যশোর রোডে যেভাবে যানজট বাড়ছে তা সত্যিই চিন্তার বিষয় প্রশাসনের কাছে (Traffic Situation on NH 34)।

Etv Bharat
34 নম্বর জাতীয় সড়ক

By

Published : Mar 20, 2023, 7:12 AM IST

Barasat Flyover

বারাসত, 20 মার্চ:পাল্লা দিয়ে গাড়ির সংখ্যা বাড়ছে। তার জেরে যানজটের নিত্য ভোগান্তি লেগেই রয়েছে 34 নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে শুরু করে যশোর রোডে। যানজটের ফলে যানবাহনের গতিও শ্লথ হয়ে যাচ্ছে । ফলে, তীব্র সমস্যার সন্মুখীন হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। সেই যাবতীয় বিষয়কে মাথায় রেখে এবার উত্তর 24 পরগণার দুই শহর বারাসত এবং মধ্যমগ্রামের মধ্যে বিকল্প ফ্লাইওভার তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য়ের পূর্ত দফতর। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ‍্য সরকারের তরফে পরিকল্পনার কথা কেন্দ্রীয় সরকারের জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানোও হয়েছে (The proposal is pending with National Highways authority)।

সূত্রের খবর, বিষয়টি নিয়ে প্রাথমিক আলোচনাও হয়েছে দু'পক্ষের মধ্যে। ফ্লাইওভারের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের যোগাযোগ ব্যবস্থা সুগম হবে । পাশাপাশি বারাসত এবং মধ্যমগ্রাম এই দুই শহরের বাসিন্দারাও নিত্যদিনের ভোগান্তির হাত থেকে রেহাই পাবেন বলে মনে করছে প্রশাসনের একটা বড় অংশ (The proposed Flyover could be beneficial for locals ) ।

34 নম্বর জাতীয় সড়কের মতো যশোর রোডও যান চলাচলের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই দুটি রাস্তাই কার্যত লাইফলাইন হিসাবে পরিচিত সাধারণ মানুষের কাছে। অত‍্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা হওয়া সত্ত্বেও এই দুই রাস্তার এক অংশে যানজটের সমস্যা মারাত্মক আকার নিয়েছে। বিশেষ করে জেলার লাগোয়া দুই শহর বারাসত ও মধ্যমগ্রামে এসে কার্যত থমকে যাচ্ছে সব যানবাহনের গতি। অথচ গাড়ির গতি সুগম করতেই 34 নম্বর জাতীয় সড়ক এবং যশোর রোডের দু'প্রান্ত একসময় সম্প্রসারিত করা হয়েছিল। তাতেও যানজট থেকে রেহাই মেলেনি।

আরও পড়ুন:সওয়াল করলেন নিজেই, পদপিষ্ট কাণ্ডে 8 দিনের পুলিশ হেফাজতে জিতেন্দ্র

এলাকার বাসিন্দাদের কথায়,"শুধু জাতীয় সড়ক অথবা যশোর রোড সম্প্রসারণ করলেই যানজট সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে না। বিকল্প অন্য কিছুর চিন্তাভাবনাও করতে হবে। কারণ, প্রয়োজনের তুলনায় দুই শহরে রাস্তার সংখ্যা অত্যন্ত কম। ফলে,যাবতীয় গাড়ি এসে পড়েছে গুরুত্বপূর্ণ এই দুই রাস্তাতেই। তার জেরে ফল যা হওয়ার তাই হচ্ছে ।" স্থানীয় সূত্রে খবর, জেলার সদর শহর বারাসতের হেলাবটতলা ও কলোনি মোড় পেরিয়ে সিংহভাগ গাড়ি 11 নম্বর রেলগেটে এসে যানজটের মুখে পড়ে দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকছে। সেখান থেকে পেরিয়ে আবারও ডাকবাংলা মোড়, মধ্যমগ্রামের চৌমাথা এবং দোলতলায় এসে থমকে যেতে হচ্ছে গাড়িগুলিকে। সেই যানজট কাটিয়ে উঠতে দীর্ঘ সময় লেগে যাচ্ছে। সন্ধ্যার পর ট্রাক চলাচল শুরু হলে পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়। তখন ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয় বিভিন্ন যানবাহনকে। এমন অবস্থায় যানজট নিয়ন্ত্রণে বারাসত ও মধ্যমগ্রামের মধ্যে ফ্লাইওভার অত‍্যন্ত জরুরি বলেই মনে করছেন স্থানীয়রা। তা না-হলে জাতীয় সড়ক কিংবা যশোর রোডে যানবাহনের গতি বাড়বে না।

বর্তমানে এই দুই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় যত সংখ্যক গাড়ি চলাচল করে তার জন্য 6 লেনের রাস্তা প্রয়োজন। সেই কারণে হেলাবটতলা থেকে দোলতলা পর্যন্ত ফ্লাইওভার করার বিষয়টির ওপরই বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে। জানা গিয়েছে, প্রায় 6 কিমি দীর্ঘ এই ফ্লাইওভার থেকে শহরের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় নামা ও ওঠার রাস্তা থাকবে। সেই সঙ্গে নীচে সার্ভিস রোডও রাখা হবে। 11 নম্বর রেলগেটের পাশে আন্ডারপাস করার বিষয় নিয়েও ভাবনাচিন্তা চলছে বলে খবর। এজেসি বোস রোডের আদলে এই ফ্লাইওভার গড়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

রাজ‍্য সরকারের এমন পরিকল্পনাকে সাধুবাদ জানিয়েছে শহরবাসী। সন্দীপ চৌধুরী নামে এক এলাকাবাসী বলেন, "রাজ‍্য সরকারের এই পরিকল্পনা প্রশংসার যোগ্য। কিন্তু যতক্ষণ না-সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হচ্ছে ততক্ষণ সাধারণ মানুষের হয়রানি কমবে না। আমরা চাই পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়িত হোক। তাহলেই আমজনতা যানজট থেকে মুক্তি পাবে।" একই সুর শোনা গিয়েছে রবীন সামন্ত নামে অপর এক বাসিন্দার গলায়। তাঁর কথায়,"যেভাবে 34 নম্বর জাতীয় সড়ক এবং যশোর রোডে যানজট বাড়ছে তা সত্যিই চিন্তার বিষয়। কারণ,যানজটের ফাঁসে দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। তার জেরে ভোগান্তিও বাড়ছে। সেই জায়গায় ফ্লাইওভার হলে মানুষের দুর্ভোগ কমবে। যানজট থেকেও মুক্তি মিলবে।"

অন‍্যদিকে, ফ্লাইওভারের পরিকল্পনা হলেও তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন রাজ‍্যের খাদ‍্যমন্ত্রী তথা মধ্যমগ্রামের বিধায়ক রথীন ঘোষ। তিনি বলেন, "সবটাই পরিকল্পনার স্তরে রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তারা অনুমোদন দিলে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে এগোবে। ফ্লাইওভার হলে বারাসত ও মধ্যমগ্রাম শহরের যানজট মুক্ত হবে।"

আরও পড়ুন:উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে ফের শিশু মৃত্যু, ফিরল অ্যাডিনো আতঙ্ক

ABOUT THE AUTHOR

...view details