বারাসত, 21 জানুয়ারি: গোবরডাঙার নকপুলের ভাঙচুরের ঘটনায় ধৃত 21 BJP নেতা-কর্মীকে জামিন দিল বারাসত আদালত। এদিন একপ্রকার লোকচক্ষুর আড়ালে ধৃত নেতা-কর্মীদের আদালত চত্বরে নিয়ে আসে পুলিশ ৷ BJP-র বিক্ষোভের আশঙ্কাতেই পুলিশের এমন পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে ।
গোবরডাঙায় গন্ডগোলে ধৃত 21 BJP কর্মীর জামিন - গোবরডাঙা
গোবরডাঙায় গন্ডগোলে জড়িত 21 BJP কর্মীকে জামিন দিল বারাসত আদালত৷ বিক্ষোভ এড়াতে এদিন সকালে ধৃতদের বারাসত আদালতে নিয়ে আসে পুলিশ। কর্মতীর্থে ভাঙচুরের ঘটনায় সোমবার রাতেই গোবরডাঙা ও হাবরা থেকে অভিযুক্ত BJP নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, সোমবার রাজ্য সরকারের প্রকল্প কর্মতীর্থ ভবনে মাদ্রাসা হবে এই গুজব ছড়ানোয় রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোবরডাঙার নকপুল এলাকা। নবনির্মিত কর্মতীর্থে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি আগুন লাগানোর চেষ্টা করা হয় । খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে পৌঁছায় পুলিশ । এরপর পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায় ৷ ক্ষুব্ধ জনতা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছুড়তে শুরু করে । অবস্থা সামাল দিতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে । ফাটায় কাঁদানে গ্যাসের শেল । পরে RAF ও কমব্যাট ফোর্স এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে । এই ঘটনায় গ্রেপ্তার হয় BJP-র ২১ নেতা-কর্মী ।
নকপুলের ঘটনায় গতকাল রাতেই হাবরা ও গোবরডাঙা থেকে ওই 21 জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদের মধ্যে রয়েছেন BJP-র গোবরডাঙা মণ্ডল সভাপতি আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর কাউন্সিলর স্ত্রী ঝুমা বন্দ্যোপাধ্যায় (কর), স্থানীয় মহিলা মোর্চার অবজারভার মীরা সরকার প্রমুখ ৷ যদিও BJP-র দাবি, ঘটনার সঙ্গে দলের সম্পর্ক নেই । যা হয়েছে তা সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন। স্থানীয় BJP নেতাদের দাবি, দলের কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে । এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, গন্ডগোলের ঘটনায় জড়িতদেরই গ্রেপ্তার করা হয়েছে । পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের বিরুদ্ধে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা, ভাঙচুর, অবরোধ, পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া সহ কয়েকটি ধারায় মামলা করা হয়েছে।
আজ ধৃত 21 জনকে বারাসত আদালতে তোলা হয় ৷ পরে তাদের জামিন দেয় আদালত ৷