বারাসত, 4 অগস্ট: ডেঙ্গির দাপট শহর জুড়ে ৷ তার মধ্যেই জঞ্জালের স্তূপে মুখ ঢেকেছে বারাসত শহর । যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে আবর্জনা । সেখানেই বাসা বেঁধেছে মশা ও বিভিন্ন পোকামাকড় ৷ সেই চিত্র সামনে আসতেই কপালে চিন্তার ভাঁজ শহরবাসীর । ঘটনায় রীতিমতো শঙ্কিত স্থানীয়রা আবর্জনার কারণেই কি বাড়ছে মশাবাহিত রোগের ? প্রশ্ন তুলে তৃণমূল পরিচালিত বারাসাত পৌরসভার দিকে আঙুল তুলেছেন বাসিন্দাদের একাংশ । এতকিছুর পরও পৌর কর্তৃপক্ষের কোনও হেলদোল নেই । নোংরা, আবর্জনার জন্য শহরবাসীকে দায়ী করে দায় সারতে চাইছে স্থানীয় প্রশাসন ৷ দাবি স্থানীয় সিপিএম নেতার ৷
রাজ্যে রীতিমতো চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গি । রাজ্যের যে দু’টি জেলায় মশাবাহিত রোগের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী , তার মধ্যে রয়েছে উত্তর 24 পরগনা । এই জেলার সদর শহর বারাসতেও ফের বাড়তে শুরু করেছে ডেঙ্গির প্রকোপ । কয়েকমাস আগেই ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে 13 বছরের এক কিশোরীর মৃত্যুও হয়েছে । তাতেও হুঁশ ফেরেনি প্রশাসনের ৷ জেলার ডেঙ্গি পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে চলতি মাসের 2 তারিখ পৌর প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম । ডেঙ্গি মোকাবিলায় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি এলাকায় নজরদারি বাড়ানোর উপরও প্রশাসনকে জোর দিতে বলেছিলেন তিনি । তারপরও জেলার সদর শহর বারাসাতের পরিস্থিতি বদলায়নি বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর ।
এদিকে, ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্তের মধ্যে গোটা শহর এভাবে নোংরা, আবজর্নায় ঢেকে থাকায় ক্ষুদ্ধ শহরের বাসিন্দারা । এনিয়ে পৌর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভও উগরে দিয়েছেন তাঁরা । এই বিষয়ে রবীন সামন্ত নামে ভাটরা এক বাসিন্দা বলেন, "বর্তমানে জঞ্জাল সমস্যা মারাত্মক আকার নিয়েছে বারাসতে । আগে বাড়ি থেকে পৌরসভার কর্মীরা নোংরা নিয়ে গেলেও এখন তা বন্ধ রয়েছে । কেন বন্ধ তা বলতে পারব না । তবে,জঞ্জাল যন্ত্রণা শহরবাসীর কাছে বড় সমস্যা । তার ওপর নিকাশিনালাগুলিও ঠিকমতো পরিষ্কার হচ্ছে না । ফলে ভারী বৃষ্টি হলে নিচু জায়গায় জল জমতে বাধ্য । বিশেষ করে ডেঙ্গির মরশুমে যেভাবে মশাবাহিত রোগের প্রকোপ বাড়ছে তাতে আমরাও চিন্তায় রয়েছি । পৌরসভা এদিকে নজর দিলে ভালো হয় ।"