বসিরহাট, 30 মার্চ : পাঁচ দিন কেটে যাওয়ার পর মাটিয়ার নাবালিকা ধর্ষণ-কাণ্ডে নমুনা সংগ্রহে ফরেন্সিক দলের প্রতিনিধিরা ৷ বুধবার চার সদস্যের ফরেনসিক টিম মাটিয়ার কুলতলা এলাকায় যায় নমুনা সংগ্রহের জন্য (Forensic team collects samples in Matia rape case) । ফরেন্সিক দলের সঙ্গে ছিলেন জেলা পুলিশ আধিকারিকরাও। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা এদিন প্রায় একঘন্টা ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণ করেন। ঘুরে ঘুরে সংগ্রহ করা হয় নমুনাও ৷ যদিও এতদিন পর ফরেন্সিক দলের নমুনা সংগ্রহ করার বিষয়টি নিয়ে দানা বেঁধেছে বিতর্ক ৷ এতদিন পর আদৌ ঘটনাস্থল থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রমাণ বা নমুনা পাওয়া যাবে তো? এমনই সব প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে বিভিন্ন মহলে ৷ যদিও, ফরেন্সিক আধিকারিকদের দাবি, এদিন ঘটনাস্থল থেকে তাঁরা রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেছেন, যা ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হবে পরীক্ষার জন্য।
গত 24 মার্চ বসিরহাটের মাটিয়ায় 11 বছরের ওই নাবালিকাকে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে মাসতুতো দিদির প্রেমিকের বিরুদ্ধে । ধর্ষণের পাশাপাশি নাবালিকার উপর চলে পাশবিক অত্যাচারও। যার বীভৎসতা হার মানিয়েছে মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও। একরত্তি মেয়ের উপর নারকীয় অত্যাচারের প্রমাণ দেখে স্তম্ভিত চিকিৎসকেরাও। প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকদের অনুমান, ধর্ষণের পর নাবালিকার যৌনাঙ্গে ভোঁতা কিছু দিয়ে বারবার আঘাত করা হয়েছে। যার ফলে যৌনাঙ্গে গভীর ক্ষত চিহ্ন তৈরি হয়েছে বলে খবর হাসপাতাল সূত্রে।