মধ্যমগ্রাম, 4 জুলাই: পঞ্চায়েত ভোটের আগে হিংসা ও অশান্তি থামার কোনও লক্ষ্মণই নেই ! ভোটের দিন যত এগিয়ে আসছে ততই যেন রাজনৈতিক সংঘর্ষ বাড়ছে বিভিন্ন প্রান্তে । এবার পতাকা টাঙানোকে কেন্দ্র করে মধ্যমগ্রামে গণ্ডগোলে জড়ালেন আইএসএফ এবং তৃণমূল সমর্থকরা । প্রকাশ্যে দু'দলের কর্মীদের মধ্যে চলে মারপিটও । বাঁশ,লাঠি নিয়ে একে অপরের ওপর হামলার ঘটনায় আহত হয়েছেন দু'পক্ষের পাঁচজন ।
এর মধ্যে আইএসএফ সমর্থিত এক মহিলার মাথা ফেটে গিয়েছে বলে খবর । ঘটনার জেরে সোমবার রাতে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে মধ্যমগ্রামের চন্ডীগড়-রোহন্ডা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় । খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে । ঘটনার পর আইএসএফ এবং তৃণমূল উভয়ই হামলার দায় চাপিয়েছে একে অপরের বিরুদ্ধে । ফলে,এই চাপানউতোরে ভোটের আগে রাজনৈতিক উত্তাপও বাড়তে শুরু করেছে উত্তর 24 পরগনার মধ্যমগ্রামে ।
জানা গিয়েছে, গতবারের নির্বাচিত তৃণমূল সদস্য শেখ নিজাল আলিকে এবারের পঞ্চায়েত ভোটে টিকিট দেয়নি দল । পরিবর্তে চন্ডীগড়-রোহন্ডা পঞ্চায়েত থেকে গ্রাম সংসদের আসনে রেজ্জাক আলিকে প্রার্থী করেছে শাসকদল । টিকিট না পেয়ে বিক্ষুদ্ধ ওই তৃণমূল নেতা নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়ে যান দলেরই মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে । কল চিহ্নে দাঁড়ানো শেখ নিজাম আলিকে সঙ্গে সঙ্গে সমর্থনও জানিয়ে দেয় আইএসএফ । ফলে, তিনি এখন আইএসএফ মনোনীত নির্দল প্রার্থী হিসেবেই লড়ছেন সেখান থেকে । এ নিয়েই বেশ কিছুদিন ধরে বিবাদ চলছিল দুই নেতার অনুগামীদের মধ্যে । সেই বিবাদই চরম আকার নেয় সোমবার গভীর রাতে ।
সূত্রের খবর, বিক্ষুদ্ধ তৃণমূল নেতা ও নির্দল প্রার্থী শেখ নিজাম আলির সমর্থনে ব্যানার এবং পতাকা টাঙাচ্ছিলেন তাঁর অনুগামীরা । তাতে সামিল হয়েছিলেন আইএসএফের কর্মী-সমর্থকরাও । অভিযোগ, সেই সময় আচমকাই তৃণমূল প্রার্থী রেজ্জাক আলির লোকজন হামলা চালায় তাঁদের ওপর । পালটা প্রতিরোধ গড়ে তুললে সংঘর্ষ বেঁধে যায় দু'পক্ষের মধ্যে । তাতেই আহত হয়েছেন দু'দলের মোট পাঁচজন । এক মহিলার মাথা ফেটে যাওয়ায় তাঁকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে । পরে, পুলিশ এসে দু'পক্ষের লোকজনকে হটিয়ে দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় ধীরে ধীরে । ঘটনার জেরে উত্তাল হয়ে ওঠে মধ্যমগ্রামের দক্ষিণ জোজড়া এলাকা । এদিকে এই ঘটনা ঘিরে রাজনৈতিক পারদও চড়ছে মধ্যমগ্রামের চন্ডীগড়-রোহন্ডা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ।