কামারহাটি, 26 সেপ্টেম্বর:ফের প্রকাশ্য়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব (TMC Inner Conflict)! এক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অন্য গোষ্ঠীর সদস্যদের মারধর এবং পালটা হামলার অভিযোগ উঠল ৷ চলল গুলিও ! রবিবার রাতের ঘটনা ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে উত্তর 24 পরগনার (North 24 Parganas) কামারহাটি (Kamarhati Municipality) এলাকায় ৷
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই এলাকায় শাসকদলের দু'টি গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে ৷ একটি গোষ্ঠী হল কামারহাটি পৌরসভা এলাকার 2 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আফসানা খাতুনের এবং অন্য গোষ্ঠীটি হল গুড্ডু ভাইয়ের ৷ এই দুই পক্ষই নাকি বিধায়ক মদন মিত্রের অনুগামী ! আফসানার দাবি, গুড্ডু ভাই আদতে তোলাবাজ ! তাঁর জন্যই এলাকায় অশান্তি ছড়াচ্ছে ৷
আরও পড়ুন:জমি বিবাদ, সালিশি সভায় মারধরের অভিযোগ তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে
রবিবারের ঘটনার সূত্রপাত রাত আটটা নাগাদ ৷ সাগর দত্ত হাসপাতালে স্থানীয় কিছু যুবকের উপর হামলা করা হয় বলে অভিযোগ ৷ গুড্ডুর অনুগামীদের দাবি, আফসানা খাতুনের ছেলেরা তাঁদের লোকেদের মারধর করেছে ৷ পালটা আফসানা দাবি করেছেন, হাসপাতালে আক্রান্তরা আদতে তাঁর অনুগামী ৷ এবং তাঁরা সকলেই খুব ভালো ছেলে ৷ এই ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে সাগর দত্ত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ৷
হাসপাতালের এই গন্ডগোলের জের গড়ায় কামারহাটি পৌর এলাকার 3 নম্বর ওয়ার্ড পর্যন্ত ৷ এখানকার ক্রিক স্ট্রিট লাগোয়া বসত এলাকার বাসিন্দারা মূলত গুড্ডুর অনুগামী ৷ তাঁদের বক্তব্য, রাত 10টা নাগাদ হঠাৎ এলাকায় ঢুকে পড়ে 15-20 জনের একটি দল ৷ ওই যুবকরা সকলেই কাউন্সিলর আফসানা খাতুনের অনুগামী বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের ৷ তাঁদের অভিযোগ, এলাকায় হঠাৎ ঢুকে পড়া ওই যুবকরা রীতিমতো তাণ্ডব শুরু করেন ৷ বাসিন্দাদের বাড়ির দরজায় দুমদাম ধাক্কা মারতে থাকেন তাঁরা ৷ সেই সময় শূন্য়ে কয়েক রাউন্ড গুলিও চালানো হয় (Kamarhati Firing) ৷ তাতে হতাহতের কোনও ঘটনা না ঘটলেও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বাসিন্দারা ৷ হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায় ৷
যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আফসানা খাতুন ৷ তাঁর পালটা দাবি, গুড্ডুর অনুগামীরা দিঘায় গিয়ে মদের আসর বসান ৷ সেই আসর থেকেই কেউ বা কারা ফোনে নির্দেশ পাঠান ৷ আর সেই নির্দেশ পেয়েই এলাকায় অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করে গুড্ডুবাহিনী ৷ অন্য়দিকে, এলাকাবাসীর একাংশের বক্তব্য হল, এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের আসল কারণ হল তোলাবাজি ৷ তোলাবাজির রাশ কার হাতে থাকবে, তা নিয়েই এই বিবাদ ৷ যার জেরে রবিবার রাতে ফের একবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এই এলাকা ৷