দেগঙ্গা,23 জানুয়ারি : নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর 125 তম জন্মদিনে আজাদ হিন্দ বাহিনীর অন্যতম সদস্য প্রয়াত কৃষ্ণ মোহন শীলের পরিবারের পাশে দাঁড়াল জেলাপরিষদের কর্মাধ্যক্ষ ৷ জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ এ কে এম ফারহাদ এদিন দুপুরে প্রয়াত স্বাধীনতা সংগ্রামীর বাড়িতে গিয়ে বৃদ্ধা স্ত্রী লক্ষীরানী শীলের হাতে কিছু আর্থিক সহায়তা ও ফুল,মিষ্টি দিয়ে সন্মান জানান। প্রয়াত স্বাধীনতা সংগ্রামীর পরিবারের পাশে থাকারও আশ্বাস দিয়েছেন জেলা পরিষদের এই কর্মাধ্যক্ষ।
প্রয়াত কৃষ্ণ মোহন শীলের বাড়ি দেগঙ্গার বেড়াচাঁপার চারাবাগান এলাকায়। তাঁর আদি বাড়ি বাংলাদেশের চট্টগ্রামে। দেশকে স্বাধীন করতে কৃষ্ণ মোহন তরুণ বয়সেই স্বাধীনতা সংগ্রামে যুক্ত হন। নাম লেখান নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর আজাদ হিন্দ বাহিনীতে। তৎকালীন বার্মার রেঙ্গুনে আজাদ হিন্দ বাহিনীর সাথে যুক্ত ছিলেন তিনি। বাহিনীর সদস্যদের চুল কাটার কাজ করতেন কৃষ্ণ মোহন।কৃষ্ণ মোহনের ছেলে শংকর মোহন শীল বলেন,"বাবার কাছেই শুনেছি একদিন আজাদ হিন্দ বাহিনীর সদস্যদের উপর আচমকা আক্রমণ করে ইংরেজ বাহিনী। তাঁদের ছোঁড়া গুলি লাগে বাবার হাতে। বাহিনীর অন্য সদস্যরা জখম বাবাকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান চট্টগ্রামে। সেখান থেকে সুস্থ হয়ে পরে ফিরে আসেন দেগঙ্গার বেড়াচাঁপার বাড়িতে"।
আজাদহিন্দ বাহিনীর সদস্যের স্ত্রীকে সাহায্য জেলা কর্মাধ্যক্ষের - আজাদহিন্দ বাহিনীর সদস্যের স্ত্রীকে সাহায্য
আজাদ হিন্দ বাহিনীর অন্যতম সদস্য ছিলেন কৃষ্ণ মোহন শীল ৷ বছর পঁচিশ আগে প্রয়াত হন তিনি ৷ তাঁর পরিবার আর্থিক কষ্টে দিন চালায় ৷ পাট্টা জমিতে বেড়া,টালির ছাউনি দিয়ে কোনও রকমে মাথা গোঁজার ঠাঁই ৷ কৃষ্ণ মোহন শীলের বৃদ্ধা স্ত্রীর হাতে কিছু আর্থিক সাহায্য দিলেন উত্তর 24 পরগণার জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ এ কে এম ফারহাদ ৷
আরও পড়ুন :‘'আত্মনির্ভর ভারতের লক্ষ্য ছিল নেতাজির !’’ রাজনৈতিক চাল প্রধানমন্ত্রীর
রাজ্য সরকারের দেওয়া পাট্টা জমিতে বেড়া,টালির ছাউনি দিয়ে কোনও রকমে মাথা গোঁজার ঠাঁই হয়েছে প্রয়াত স্বাধীনতা সংগ্রামীর পরিবারের। তবে,স্বাধীনতা সংগ্রামীর মর্যাদা পেলেও কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কোনও পেনশন মেলেনি বলে অভিযোগ পরিবারের।দেগঙ্গাতে-ই নাপিতের কাজ করে একসময় কোনও রকমে সংসার চলত কৃষ্ণ মোহন শীলের। পরিবার সুত্রে জানা গেছে,বছর পঁচিশ আগে প্রয়াত হন কৃষ্ণ মোহন শীল। তাঁর এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। ছেলে শংকর মোহন শীল ও মেয়ে সুধারানি শীল এখনও অবিবাহিত। সংসারের হাল টানতে শংকর মোহন একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। মেয়ে সুধারানি শীল কাজ করেন অন্যের বাড়িতে। দুজনের আয়ে কোনও রকমে সংসার চলে পরিবারের। শনিবার সেই প্রয়াত কৃষ্ণমোহন শীলের পরিবারের হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দিলেন জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ এবং স্থানীয় তৃণমূল নেতা এ কে এম ফরহাদ। তাঁর সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ায় খুশি প্রয়াত স্বাধীনতা সংগ্রামীর পরিবার। তাঁর এই উদ্যোগের প্রশংসাও করেছেন স্থানীয়রা।