দেগঙ্গা, 24 জুন : আমফানের ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে দেগঙ্গার BDO অফিসে বিক্ষোভ । চলল ভাঙচুরও । এই ঘটনায় মহিলাসহ মোট 15 জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ । BDO-র অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। যদিও তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে ধৃতরা । ধৃতদের মধ্যে বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে । পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধৃতদের বিরুদ্ধে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করাসহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করা হয়েছে ।
গতকাল দুপুরে ধৃতদের বারাসাত আদালতে তোলা হয় । বিচারক তাদের মধ্যে ছয়জনকে তিনদিনের পুলিশ হেপাজত এবং বাকিদের তিনদিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন ।ধৃতরা অবশ্য কোনওরকম ভাঙচুরের সঙ্গে যুক্ত নয় বলে দাবি করেছে । অভিযোগ, তৃণমূল চক্রান্ত করে তাদের ফাঁসিয়েছে । তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল । তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, "এই আন্দোলনে মদত দিয়েছে নকশাল, RSS সংগঠন । ঘটনায় পুলিশ যে 15 জনকে গ্রেপ্তার করেছে, তার মধ্যে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচজন ছাত্রছাত্রী এবং একজন অভিভাবক রয়েছে । এরা নকশাল এবং RSS-এ যুক্ত । আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক পরিবারই ক্ষতিপূরণ পাবে । প্রশাসন তদন্ত করে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখে ক্ষতিপূরণ দেবে । কিন্তু এর জন্য ভাঙচুরের আন্দোলন বরদাস্ত করা হবে না ।"
পুলিশ এবং প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত দেগঙ্গার BDO অফিসে ভাঙচুরের পিছনে বেশ কয়েকজন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী ছিল । তবে এরা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় নাকি অন্য কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখছে দেগঙ্গা থানার পুলিশ । ধৃতদের মধ্যে কয়েকজন বহিরাগত রয়েছে । ধৃত সুদর্শন বারুইয়ের বাড়ি দমদমে । পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতার বাসিন্দা জুবি সাহা এবং নাতাশা খান পড়াশোনার সুবাদে থাকে নিউটাউনে । ফলে পুলিশ এই বিষয়ে নিশ্চিত, BDO অফিসে যেভাবে ভাঙচুর হয়েছে, সেটা দেগঙ্গা ব্লকের পঞ্চায়েত এলাকার মানুষের একার পক্ষে সম্ভব নয় । বহিরাগত সংগঠনের একটা প্রভাব রয়েছে ।