দত্তপুকুর, 27 ডিসেম্বর: বছর ঘুরলেই অযোধ্যায় উদ্বোধন হতে চলেছে রাম মন্দিরের । নতুন বছরের 22 জানুয়ারি অযোধ্যায় রামের নবনির্মিত মন্দিরের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । আর এই রাম মন্দির নির্মাণের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে দেশের বিভিন্ন অংশের নাম । বাদ নেই পশ্চিমবঙ্গও । আগেই উত্তর 24 পরগনার দত্তপুকুরের জামালউদ্দিনের কারখানায় তৈরি রামের ফাইবারের দুটি মূর্তি অযোধ্যায় যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল বাংলার নাম । এ বার রাম মন্দির নির্মাণের সঙ্গেও জুড়ল দত্তপুকুরের নাম । সৌজন্যে ভূমিপুত্র সৌরভ রায় । তাঁর হাতেই রূপ পেয়েছে রাম মন্দিরের চূড়ান্ত অবয়ব । মন্দিরের দেওয়ালে ফুটে উঠছে রামলালার জীবনীও । ফলে, শুধু মূর্তি নয়, মন্দির তৈরি এবং সাজানোতেও রয়েছে বাঙালি শিল্পীর হাতযশ ।
বাংলা থেকে একমাত্র সৌরভই ডাক পেয়েছেন রাম মন্দির নির্মাণের কাজে । স্বভাবতই ঐতিহাসিক রাম মন্দির নির্মাণের কাজে যুক্ত হতে পেরে খুশি বছর 29-এর সৌরভ রায় । দীর্ঘদিন ধরেই ফাইবারের কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন দত্তপুকুরের চালতাবেড়িয়ার ঘোষপাড়ার বাসিন্দা এই যুবক । প্রথম দিকে স্থানীয় একটি কারখানায় ফাইবারের মডেল-সহ বিভিন্ন কারুকাজ করতেন তিনি । পরে সৌরভ দিল্লিতে চলে যান অধিক উপার্জনের আশায় ।সেখানকার এক প্রতিষ্ঠিত ফাইবার কোম্পানির মাধ্যমেই তিনি যোগীরাজ্যে রাম মন্দির নির্মাণে ডাক পান । তারপর থেকেই মন্দির নির্মাণের কাজে লেগে পড়েন বাংলার এই শিল্পী ।
ইতিমধ্যে রামের জীবনীর বিভিন্ন কারুকাজ ফুটে উঠেছে তাঁর হাত ধরে । যেহেতু নবনির্মিত রাম মন্দির উদ্বোধনের আর বেশিদিন সময় নেই, সেহেতু অযোধ্যায় এখন চূড়ান্ত ব্যস্ততা । শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে । সেজন্য নাওয়া-খাওয়ার ফুরসতটুকুও নেই মন্দির নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত কয়েকশো শিল্পীর । একই অবস্থা সৌরভেরও ।
বছর 17 আগে ফাইবারের কাজে হাতেখড়ি হয় যুবকের । প্রথমে প্রোডাকশনের কাজ শুরু করলেও পরবর্তীতে তিনি ফাইবারের রং, ফিনিশিং সব কাজেই পোক্ত হয়ে ওঠেন । ইতিমধ্যে তিনি মুম্বই, হায়দরাবাদ, নেপাল, নাগপুর-সহ রাজ্যের বাইরে একাধিক জায়গায় নিজের প্রতিভা তুলে ধরেছেন ।তাই সৌরভের কর্মকাণ্ড ঘিরে ঘুরে দাঁড়ানোর আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছে দত্তপুকুরের ছোট-বড় ফাইবার কারখানায় নিযুক্ত বহু শিল্পী ।