বারাসত, 17 জুন: কোরোনা আবহে শিক্ষা সংক্রান্ত দাবিতে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাল SFI। বুধবার দুপুরে বারাসতের 34 নম্বর জাতীয় সড়কের কলোনী মোড়ে একাধিক দাবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড গলায় ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখাল সংগঠনের কর্মী-সমর্থকরা। অবরোধ চলে বেশ কিছুক্ষণ। তার আগে জেলা শহরে মিছিল করে বাম ছাত্র সংগঠন। চাঁপাডালি মোড় থেকে শুরু হওয়া সেই মিছিল ডাকবাংলো মোড় হয়ে কলোনী মোড়ে এসে শেষ হয়। এরপর সেখানেই অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে আন্দোলনকারীরা। এর জেরে জাতীয় সড়কে সাময়িকভাবে যান চলাচল ব্যহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলে অবরোধ তুলে দেয়৷ পুলিশের অনুরোধে আধ ঘণ্টা পর আন্দোলন প্রত্যাহার করা হয়৷ SFI কর্মীরা আন্দোলনে স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়নি বলে অভিযোগ তুলল শাসক দলের ছাত্র সংগঠন TMCP।
লকডাউনের জেরে বন্ধ রয়েছে রাজ্যের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলি । স্তব্ধ পঠনপাঠন। লকডাউন শিথিল হওয়ার পরও পরিস্থিতির বদল হয়নি। এই অবস্থায় বিপাকে পড়েছে পড়ুয়ারা। অন্যদিকে সঠিক সময়ে পাঠক্রম শেষ করা যাবে কিনা, তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই পরিস্থিতিতে বহু কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইনে পঠনপাঠনে জোর দিয়েছে। তারপরেও অনলাইন শিক্ষা থেকে অনেক পড়ুয়াই বঞ্চিত হচ্ছে বলে অভিযোগ। এইসঙ্গে লকডাউনের বাজারে দুস্থ পড়ুয়ারা কলেজের সেশন ফি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেল ফি কীভাবে মেটাবেন, তা নিয়ে সংশয়ে দেখা দিয়েছে। বারাসতে বুধবার SFI দাবি করে, সমস্ত দুস্থ পড়ুয়াদের কলেজের সেশন ফি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেল ফি মকুব করতে হবে। এইসঙ্গে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত পড়ুয়ার জন্য অনলাইন শিক্ষা সুনিশ্চিত করতে হবে৷ আজ শিক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন দাবিতে 34 নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় SFI। তার আগে জেলা শহরে মিছিল সংগঠিত করে তারা৷ অবরোধে জাতীয় সড়কে সাময়িকভাবে জানযট তৈরি হয়৷ পরে পুলিশ এসে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে অবরোধ তুলে দেয়৷ কোরোনা আবহে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করলেও SFI কর্মীরা স্বাস্থ্যবিধি মানেনি বলে অভিযোগ TMCP-র।