দেগঙ্গা, উত্তর 24 পরগনা : জুয়ার ঠেক বন্ধ করাকে কেন্দ্র করে জুয়াড়িদের সাথে স্থানীয় বাসিন্দাদের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল দেগঙ্গার হাড়োয়া স্টেশন চত্বর । দুষ্কৃতীদের ব্যাপক মারধরে এক মহিলা আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ । তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন তাঁর স্বামীও । সোমবার রাতের এই ঘটনায় মঙ্গলবার দেগঙ্গা থানায় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্রান্ত ওই মহিলা । অভিযোগের ভিত্তিতে ঝন্টু মণ্ডল নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ । বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে ।
জুয়ার ঠেক বন্ধ করা ঘিরে জুয়াড়ি ও স্থানীয়দের সংঘর্ষে উত্তপ্ত দেগঙ্গা, দাঁত ভাঙল মহিলার - হাড়োয়া স্টেশন
দেগঙ্গার হাড়োয়া স্টেশনের দু-নম্বর প্ল্যাটফর্মের পাশের কলোনিতে দীর্ঘদিন ধরে চলে জুয়ার ঠেক । যার জেরে স্টেশন চত্বরে দিনের পর দিন চুরি, ছিনতাইয়ের ঘটনা বাড়ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের । সম্প্রতি ওই এলাকায় রেলের গোডাউনের তালা ভেঙে লক্ষাধিক টাকার ব্যাটারি চুরি করে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা । সেই ঘটনার তদন্তে নেমে রেলপুলিশ জানতে পারে ঘটনার সঙ্গে স্টেশন চত্বরের জুয়াড়িদের হাত রয়েছে ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দেগঙ্গার হাড়োয়া স্টেশনের দু-নম্বর প্ল্যাটফর্মের পাশের কলোনিতে দীর্ঘদিন ধরে চলে জুয়ার ঠেক । যার জেরে স্টেশন চত্বরে দিনের পর দিন চুরি, ছিনতাইয়ের ঘটনা বাড়ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের । সম্প্রতি ওই এলাকায় রেলের গোডাউনের তালা ভেঙে লক্ষাধিক টাকার ব্যাটারি চুরি করে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা । সেই ঘটনার তদন্তে নেমে রেলপুলিশ জানতে পারে ঘটনার সঙ্গে স্টেশন চত্বরের জুয়াড়িদের হাত রয়েছে । তদন্তে এও উঠে আসে, স্টেশন চত্বরে দীর্ঘদিন ধরে জুয়ার ঠেক চলছে । এরপরই সোমবার সকালে হাড়োয়া স্টেশনের দু-নম্বর প্ল্যাটফর্মে অভিযান চালায় বারাসত GRP। সেখানে তারা দেখে, প্রকাশ্যেই স্টেশনের উপর চলছে জুয়ার ঠেক । পরে, সেই জুয়ার ঠেক ভেঙে দেয় GRP। সেই ঘটনার রেশ গড়ায় ওইদিন রাতে ৷ এলাকার কয়েকজন যুবক রেলপুলিশকে ডেকে এনেছে, এই সন্দেহে তাঁদের বেধড়ক মারধর করে জুয়াড়িরা । বাধা দিতে গেলে দুষ্কৃতীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বেধে যায় স্থানীয়দের ৷ মিনু হালদার নামে এক মহিলাকে ব্যাপক মারধর করে হামলাকারীরা । মারধরে তাঁর দাঁত ভেঙে যায় বলে অভিযোগ । মাধরের কারণে একসময় বেঁহুশ হয়ে যান আক্রান্ত ওই মহিলা । এরপর অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে সেখান থেকে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা।
এই বিষয়ে আক্রান্ত মহিলার স্বামী সুবীর হালদার বলেন, দুষ্কৃতীরা তাঁর ছেলে ও জামাইকে বেধড়ক মারধর করছিল । সেই দেখে তাদের বাধা দিতে গেলে মারধর করা হয় তাঁর স্ত্রীকে ৷ হামলায় মাথায় আঘাতও লাগে তাঁর । দাঁত ভেঙে যাওয়ায় মুখ থেকে রক্তক্ষরণও শুরু হয় একসময় । তার ফলে প্ল্যাটফর্মেই বেঁহুশ হয়ে যান তিনি ৷ পরে আহত অবস্থায় তাঁকে দেগঙ্গার বিশ্বনাথপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় । সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয় ওই মহিলাকে ৷