দমদম, 17 অক্টোবর : দশমীর ভোরে নিমতার বিরাটি রেলগেটের সামনে দেবাঞ্জনকে খুন করে দুর্ঘটনার চিত্রনাট্য সাজানো হয়েছিল । এমন তত্ত্বই উঠে আসছে ৷ ত্রিকোণ প্রেমের জেরে এই খুন বলে মনে করছে তদন্তকারী ব্যারাকপুর কমিশনারেটের গোয়েন্দা শাখার পুলিশ । এই ঘটনার তদন্তভার নিমতা থানার পাশাপাশি ব্যারাকপুর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের হাতে তুলে দেওয়া হয় । আজ বিকেলে দেবাঞ্জনের বান্ধবী মেঘাকে (নাম পরিবর্তিত) আটক করে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ । সূত্রের খবর, এই মামলায় মেঘা, ও তার আর এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু প্রিন্স সিং সহ মোট ২০ জনের বিরুদ্ধে FIR দায়ের করা হয়েছে । ৩০২ ধারায় খুনের মামলা রুজু হয়েছে । ত্রিকোণ প্রেমের জেরেই খুন হন দেবাঞ্জন দাস এবং ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পনা করে খুন করা হয় ৷ এ ব্যাপারে প্রায় নিশ্চিত হলেও গুলিটাকে চালিয়েছিল তা নিয়ে এখনও ধন্দে পুলিশ ।
আজ দেবাঞ্জনের বাবা অরুণ দাস নিমতা থানায় খুনের মামলা দায়ের করেন । তিনি প্রথম থেকেই দাবি করছিলেন, দেবাঞ্জনকে খুন করা হয়েছে । এবং তার পিছনে ত্রিকোণ প্রেমের কোনও রহস্য থাকতে পারে বলেও সন্দেহ ছিল তাঁর । কিন্তু পুলিশ জানিয়েছিল, গাড়ি দুর্ঘটনাতেই মৃত্যু হয়েছে বছর কুড়ির দেবাঞ্জনের । পুলিশ পরিবারের সেই অভিযোগ নিতে চায়নি । তবে, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট খুনের সম্ভাবনাকেই জোরালো করছে ।
দেবাঞ্জন দাস টেকনো ইন্ডিয়ার ছাত্র ছিলেন । অন্যদিকে প্রিন্স BBA নিয়ে পড়াশুনা করছিলেন । দু'জনেই আদিত্য স্কুলের ছাত্র ৷ স্কুলে দু'জনের বন্ধুত্ব বেশ ভালো ছিল বলেও জানা গেছে । সেখান থেকেই তাদের পরিচয় হয় নাগেরবাজারের একটি স্কুলের ছাত্রী মেঘার সঙ্গে । মেঘার প্রথমে দেবাঞ্জনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল । তিন বছরের সম্পর্কে ইতি টানে তারা ৷ মাস তিনেক আগে প্রিন্সের সঙ্গে মেঘার বনিবনা নিয়ে সমস্যা তৈরি হয় । সেই সুবাদে দেবাঞ্জনের সঙ্গে আবার মেঘার ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয় ।