মধ্যমগ্রাম (উত্তর 24 পরগনা), 10 ফেব্রুয়ারি: সুজন চক্রবর্তীর (Sujan Chakraborty) সভার আগেই সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষে শুক্রবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল উত্তর 24 পরগনার কেমিয়া-খামারপাড়া পঞ্চায়েতের কলুপাড়া এলাকা । সিপিএম (CPIM) কর্মীদের মারধর, মঞ্চ ও সভার মাইক ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ ৷ এমনকী দলীয় পতাকা ছিঁড়ে মাটিতে ফেলে দেওয়াও হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে সিপিএমের তরফ থেকে ৷ অভিযোগ, কয়েকটি বাইকেও রীতিমতো তাণ্ডব চালানো হয়েছে । ঘটনায় সিপিএমের 6 থেকে 7 জন কর্মী গুরুতর জখম হয়েছেন । তাঁদের চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে বারাসত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ।
পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Elections 2023) আগে এই রাজনৈতিক সংঘর্ষে কার্যত সরগরম হয়ে উঠেছে বারাসত 2 নম্বর ব্লকের কলুপাড়া এলাকা । যদিও, হামলার অভিযোগ উড়িয়ে পালটা সিপিএমের বিরুদ্ধেই এলাকায় গন্ডগোল পাকানোর অভিযোগ এনেছে তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতৃত্ব । তবে, অশান্তির পরও সভা করতে মরিয়া সিপিএম নেতৃত্ব । নতুন করে মঞ্চ বেঁধে যথাস্থানে এদিন বিকেলে সভা হয়েছে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর ।
দীর্ঘ 12 বছর পর 13 জানুয়ারি শাসনের খড়িবাড়ি এলাকায় রাজনৈতিক মিছিল করে সিপিএমের জেলা নেতৃত্ব । সেই মিছিলে হাজির ছিলেন দলের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমও (Md Salim) । সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন । তার আগে বারাসত 2 নম্বর ব্লকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ডাক দিয়ে শুক্রবার দুপুরে জনসভার আয়োজন করে সিপিএম । মধ্যমগ্রামের কেমিয়া-খামারপাড়া পঞ্চায়েতের কলুপাড়ায় ছিল এদিনের এই জনসভা । জনসভার আগে কলুপাড়ার রাস্তার দু'ধারে দলীয় পতাকা, মঞ্চ বাঁধার কাজের তদারকি করছিলেন সিপিএমের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা ।
অভিযোগ, তখনই লাঠি, রড নিয়ে হামলা চালায় তৃণমূলের বহিরাগত লোকজন । সিপিএম কর্মীদের মারধরের পাশাপাশি সভাস্থলে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ ওঠে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে । পালটা সিপিএমও প্রতিরোধ গড়ে তোলে । তাতেই ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় সেখানে । সিপিএম নেতৃত্বের অভিযোগ, গন্ডগোলের আশঙ্কায় পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিল তারা । তারপরও পুলিশের সামনেই শাসকদলের দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়েছে তাদের নেতা-কর্মীদের ওপর । যদিও সেই অভিযোগ মানতে চায়নি তৃণমূল নেতৃত্ব ।