মধ্যমগ্রাম, 10 মে : করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের কষ্ট লাঘব করাই হবে মন্ত্রী হিসাবে আমার প্রথম কাজ ৷ মুখ্যমন্ত্রী আমার উপর যে আস্থা ও বিশ্বাস রেখেছেন, তার মর্যাদা রাখার চেষ্টা করব ৷ রাজ্য মন্ত্রিসভায় নতুন সদস্য হিসেবে ভার্চুয়ালি শপথ নেওয়ার পর সংবাদমাধ্যমের সামনে এমনই বললেন মধ্যমগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক তথা খাদ্য মন্ত্রী রথীন ঘোষ ৷ ভ্যাকসিন এবং অক্সিজেনের আকাল নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকারও সমালোচনা করেছেন তিনি।
রবিবার সন্ধ্যাতেই রাজ্য মন্ত্রিসভায় কারা জায়গা পেতে চলেছেন, তা পরিষ্কার হয়ে যায় ৷ বিশেষ করে এবারের মন্ত্রিসভায় নতুন মুখের দিকে নজর ছিল সকলের ৷ লক্ষ্যণীয়ভাবে, সেই তালিকায় ঠাঁই পেয়েছেন মধ্যমগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক রথীন ঘোষ ৷ যাঁকে প্রথমবারেই পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে মমতার মন্ত্রিসভায় জায়গা দেওয়া হয়েছে ৷
শাসকদলের দক্ষ সংগঠক হিসাবে পরিচিত রথীন পরপর তিনবার মধ্যমগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হন ৷ এবারও তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির রাজশ্রী রাজবংশীকে তিনি প্রায় 49 হাজার ভোটে পরাজিত করেছেন ৷ বিধায়কের পাশাপাশি পৌরসভার প্রশাসকের দায়িত্বও ছিল রথীন ঘোষের কাঁধে ৷ সেই দায়িত্বও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছেন তিনি ৷ যার ফলস্বরূপ মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে মন্ত্রিসভায় জায়গা দিলেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল ৷
এদিকে, মন্ত্রী হওয়ার খবরে সোমবার সকাল থেকেই রথীন ঘোষের মধ্যমগ্রামের মাইকেল নগরের বাড়িতে ভিড় জমাতে শুরু করেন তৃণমূলের কর্মী ও সমর্থকরা ৷ শুভেচ্ছা জানাতে আসেন প্রতিবেশীদের অনেকেই ৷ কিন্তু, শারীরিক অসুস্থতা থাকায় করোনা আবহের মধ্যে এদিন বাইরে এসে কারও সঙ্গেই শুভেচ্ছা বিনিময় করেননি রথীন ৷ বাড়ির দোতলার ঘর থেকে হাত নেড়ে সকলের অভিবাদন গ্রহণ করেন তিনি ৷ সেইসঙ্গে পরে সকলের সঙ্গে দেখা করার আশ্বাসও দেন ৷ রথীন ঘোষের মন্ত্রী হওয়ার খুশিতে এদিন মিষ্টি বিলির পাশাপাশি ব্যান্ড পার্টির আওয়াজেও মুখরিত হয় বিধায়ক রথীন ঘোষের বাড়ির আশপাশ ৷