বারাসত, 28 এপ্রিল : কনটেইনমেন্ট জ়োনগুলিতে বাইরে বের হওয়া নিষেধ। বাড়িতেই পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে প্রশাসনের তরফে। কিন্তু বারাসতের শ্রীনিকেতনের ছবিটা অন্য। স্থানীয়দের অভিযোগ, পরিষেবা সঠিকভাবে পাওয়া যাচ্ছে না এখানে । প্রয়োজনীয় সামগ্রী আনতে নিজেদেরই বেরতে হচ্ছে রাস্তায়। কোনওরকম সাহায্য় করছেন না দায়িত্বপ্রাপ্ত সিভিক ভলান্টিয়াররা ।
বারাসত পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের শ্রীনিকেতন। দিন কয়েক আগে এখানকার এক প্রবীণা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান। পরে,তাঁর কোরোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে । এদিকে গতকাল নবান্নের তরফে যে কনটেইনমেন্ট জ়োনের তালিকা প্রকাশ করা হয়, তাতে উত্তর 24 পরগনার বারাসতের শ্রীনিকেতন এলাকাটিও রয়েছে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, কনটেইনমেন্ট জ়োনগুলিতে প্রবেশ-বাহির বন্ধ । এক্ষেত্রে এলাকার বাসিন্দাদের যাবতীয় সামগ্রী পৌঁছে দেবে প্রশাসনের লোকজন। কিন্তু শ্রীনিকেতনের বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রশাসনের কথা মতো কোনও কাজ হয়নি।
এবিষয়ে শ্রীনিকেতন এলাকার বাসিন্দা প্রতীক চট্টোপাধ্যায় বলেন, "নামেই কনটেইনমেন্ট জ়োন। কোনও পরিষেবাই ঠিকঠাকভাবে পাওয়া যাচ্ছে না। পরিস্থিতি দেখভালের জন্য দু'জন সিভিক ভলান্টিয়ারকে নিয়োগ করা হয়েছে । কিন্তু, তাঁদের কাজ শুধু রাস্তার উলটো দিকে সামনে বসে থাকা ।" তাঁর আরও অভিযোগ, কেউ সামগ্রী চাওয়ার পর তা পৌঁছে দেওয়ার কথা বললেই তাঁরা মুখের উপর না বলে দিচ্ছেন । যদি সামগ্রী নিতে বাড়ির বাইরে বেরতে হয়, তাহলে আর কনটেইনমেন্ট জ়োন ঘোষণা করে লাভ কী ? এতে তো সংক্রমণ আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে ।
এবিষয়ে বারাসত পুলিশ জেলার সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা ঠিক নয়। বারাসত ও মধ্যমগ্রামের কনটেইনমেন্ট জ়োনে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে পুলিশের তরফে। মানুষের সুবিধা অসুবিধা দেখার জন্য।ওই কনটেইনমেন্ট জ়োনেও আমরা দু'জন সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ করেছি । পুলিশের হেল্পলাইন নম্বরও রয়েছে। পুলিশ সবসময় মানুষের পাশে রয়েছে ।"
প্রসঙ্গত, উত্তর 24 পরগনার মোট 57টি এলাকাকে কনটেইনমেন্ট জ়োন হিসেবে ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। এর মধ্যে বারাসতের 2টি ও মধ্যমগ্রামের 4টি কনটেইনমেন্ট জ়োন রয়েছে। সংক্রমণ ঠেকাতে এই সমস্ত এলাকার বাসিন্দাদের বাড়ির বাইরে বেরতে নিষেধ করা হয়েছে। এলাকায় অন্যদের প্রবেশও নিষিদ্ধ ।