বসিরহাট, 22 নভেম্বর: তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে (Trinamool Factionalism) ধুন্ধুমার উত্তর 24 পরগনার বসিরহাটের শাকচূড়া বাজার সংলগ্ন এলাকা । চলে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলিও ।
সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বসিরহাট থানার এক পুলিশ কনস্টেবল (Constable shot)। প্রভাত সর্দার নামে ওই কনস্টেবলের বাঁ কাঁধে গুলি লেগেছে বলে জানা গিয়েছে । তাঁকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বারাসতের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে । এই ঘটনার প্রতিবাদে দফায় দফায় রাস্তা অবরোধ করা হয় । থানার সামনে তুমুল বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা ৷ তা সামাল দিতে গিয়ে লাঠিচার্জ করে পুলিশ । যার জেরে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে বসিরহাট থানা চত্বরে (TMC Factionalism)।
গুলিকাণ্ডে ইতিমধ্যে পুলিশ তৃণমূল নেতা সিরাজুল ইসলাম-সহ মোট 41 জনকে গ্রেফতার করেছে । তাঁদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইন-সহ খুনের চেষ্টার মামলা রুজু হয়েছে বলে খবর পুলিশ সূত্রে । ঘটনার পরপরই পুলিশ তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র এবং দুই রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করে । এখনও থমথমে রয়েছে এলাকা ।
জানা গিয়েছে, জেলা পরিষদ সদস্য তথা তৃণমূল নেতা শাহানুর মণ্ডলের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই বিবাদ রয়েছে বসিরহাট 1 নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি নজরুল হক ঘনিষ্ঠ সিরাজুল ইসলামের । সোমবার সন্ধ্যায় শাকচূড়া বাজারের কাছে এই দুই গোষ্ঠীর সমর্থকদের মধ্যে তুমুল বচসা বাঁধে । সেই বচসা গড়ায় হাতাহাতিতে । অভিযোগ, সেই সময় আচমকাই সিরাজুলের লোকজন আগ্নেয়াস্ত্র বের করে গুলি চালাতে শুরু করেন । তাঁদের লক্ষ্য ছিল শাহানুর ঘনিষ্ঠ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা আশরাফুল জামান বুলবুল । কিন্তু গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় বরাত জোরে বেঁচে যান তিনি । যদিও সেই গুলি গিয়ে লাগে বসিরহাট থানার পুলিশ কনস্টেবল প্রভাত সর্দারের বাঁ কাঁধে । রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন গুলিবিদ্ধ কনস্টেবল । তাঁকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় বসিরহাট জেলা হাসপাতালে । অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে রাতেই ওই পুলিশ কনস্টেবলকে বারাসতের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । তাঁর অস্ত্রোপচারের চিন্তাভাবনা শুরু করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ।