পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

বারাসত হাসপাতালের সুপারের বিরুদ্ধে আয়ের সঙ্গে সংগতিহীন সম্পত্তির অভিযোগ

জানা গিয়েছে, পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে বারাসত জেলা হাসপাতালের সুপারের দায়িত্বে রয়েছেন সুব্রত মণ্ডল । এর আগে এত বছর ধরে কেউ সুপারের দায়িত্বে ছিলেন না বলেই খবর জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে । ফলে সুপারের পদে এতদিন থাকা নিয়ে বিভিন্ন গুঞ্জন শোনা যেত ।

Barasat Hospital
Barasat Hospital

By

Published : Sep 23, 2020, 4:46 PM IST

বারাসত, 23 সেপ্টেম্বর : আয়ের সঙ্গে সংগতিহীন সম্পত্তি বৃদ্ধির অভিযোগ উঠল বারাসত জেলা হাসপাতালের সুপার সুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে । অভিযোগ দায়ের হয়েছে বারাসত থানায় । এই বিষয়ে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন খোদ জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তাপস কুমার রায় । পাশাপাশি হাসপাতাল সুপারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তও শুরু হয়েছে বলে খবর জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে । তবে, বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের কর্তারা ।

জানা গিয়েছে, পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে বারাসত জেলা হাসপাতালের সুপারের দায়িত্বে রয়েছেন সুব্রত মণ্ডল । এর আগে এত বছর ধরে কেউ সুপারের দায়িত্বে ছিলেন না বলেই খবর জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে । ফলে সুপারের পদে এতদিন থাকা নিয়ে বিভিন্ন গুঞ্জন শোনা যেত । 4 সেপ্টেম্বর সুপার সুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে বারাসত থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হতেই সেই গুঞ্জন আরও বেড়ে যায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের অন্দরে । আয়ের সাথে সংগতিহীন সম্পত্তি বৃদ্ধির অভিযোগ ওঠে হাসপাতাল সুপারের বিরুদ্ধে । এমনই অভিযোগ করে বারাসত থানায় খোদ অভিযোগ দায়ের করেছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তাপস কুমার রায় ।

জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দায়ের করা অভিযোগের বিষয়বস্তু হল, 1988 সালের দুর্নীতি দমন আইন অনুযায়ী জেলা সদর বারাসত সরকারি হাসপাতালের সুপার সুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে আয়ের সঙ্গে সংগতিহীন সম্পত্তির অভিযোগ । অভিযোগ পত্রে বলা হয়েছে জনৈক অরবিন্দ পাল বনাম রাজ্য সরকারের একটি মামলায় 2019 সালের 22 নভেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য এই সংক্রান্ত বিষয়ে রায় দিয়েছিলেন । মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অভিযোগে জানিয়েছেন, দুর্নীতি দমন আইন অনুযায়ী আয়ের সঙ্গে সংগতিহীন সম্পত্তির অভিযোগে বারাসত জেলা হাসপাতালের সুপার সুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে । দায়ের করা সেই অভিযোগই যেন FIR হিসেবে গণ্য করা হয় সে কথাও পুলিশকে জানিয়েছেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক । পুলিশের পাশাপাশি হাসপাতাল সুপারের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে বিভাগীয় তদন্তও । এদিকে, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ হাসপাতাল সুপারের বিরুদ্ধে 1988 সালের দুর্নীতি দমন আইন অনুযায়ী ভারতীয় দণ্ডবিধির 13(2),13(1)(b) ধারায় মামলা রুজু করেছে । শুরু হয়েছে ঘটনার তদন্তও । এই বিষয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তাপসকুমার রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা তিনি বলেন, "যা করা হয়েছে তা সবই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে। " এর বেশি কিছু বলতে রাজি হননি তিনি।

অন্যদিকে,যার বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ উঠেছে সেই বারাসত জেলা হাসপাতালের সুপার সুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, "বিষয়টি বিচারাধীন । তাই এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না। "

ABOUT THE AUTHOR

...view details