কদম্বগাছি, 5 এপ্রিল: সরকারি চাল বণ্টনকে ঘিরে কদম্বগাছিতে প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। একপক্ষ আরেক পক্ষের বিরুদ্ধে তুলল মারধর ও হেনস্থার অভিযোগ। বারাসত ১ নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আসাদুজ্জামান ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনলেন কদম্বগাছি পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য সুদর্শন দেব। তাঁদের গ্রেপ্তারের দাবিতে রবিবার বিকেলে কদম্বগাছি ফাঁড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভও দেখালেন তৃণমূলের একাংশের কর্মী সমর্থকরা। এদিনে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে ফাঁড়ি চত্বর টাকি রোড সংলগ্ন এলাকা। পরে পুলিশি আশ্বাসে বিক্ষোভ তুলে নেওয়া হয়। যদিও, যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আসাদুজ্জামান ।
সরকারি চাল সুষ্ঠুভাবে বণ্টন করা নিয়ে এদিন সকালে কদম্বগাছি পঞ্চায়েতে পঞ্চায়েত সদস্যদের একটি বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকেই পঞ্চায়েতের তৃণমূলের দলনেতা তথা পঞ্চায়েত সদস্য সুদর্শন দেবও হাজির ছিলেন। অভিযোগ, বৈঠক শেষে তিনি যখন বাড়ির দিকে রওনা দেন তখন তাঁকে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা তৃণমূল নেতা আসাদুজ্জামান ফোন করে ডাকেন। সুদর্শন দেব সেই মতো পঞ্চায়েতে ফিরেও আসেন। এরপরই সরকারি চাল দেওয়া নিয়ে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তৃণমূলের দুই নেতা ও তাঁদের অনুগামীরা। বচসা থেকে হাতাহাতি বেধে যায়। ঝামেলা চলাকালীন পঞ্চায়েত সদস্য সুদর্শন দেবকে হেনস্থা ও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ তোলে সুদর্শন দেবের অনুগামীরা। অপমান করে তাঁকে পঞ্চায়েত থেকে বের করে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আসাদুজ্জামান ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে।
এদিকে ঘটনা জানাজানি হতেই তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের একাংশের ভিড় বাড়তে থাকে কদম্বগাছি ফাঁড়ির সামনে। অন্যদিকে জমায়েত হন স্থানীয় নেতৃত্বও। আসেন জেলা পরিষদের সদস্য রঞ্জিত বিশ্বাস, পঞ্চায়েত সদস্য নিজা়মউদ্দিন কবীর, তৃণমূল নেতা মাফুজার রহমানসহ দলের বেশ কিছু নেতা। নেতৃত্বের উপস্থিতিতেই বিকেলে ফাঁড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানো হয়। পরে অবশ্য পুলিশি আশ্বাসে উঠে যায় বিক্ষোভ।