পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

By

Published : May 15, 2022, 9:04 PM IST

ETV Bharat / state

Rahara Bomb Blast : রহড়ার বিস্ফোরণস্থলে সিআইডির বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড

রহড়ার বিস্ফোরণস্থলে সিআইডির বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড (Bomb Disposal Squad at Rahra blast site)। জায়গাটি কর্ডন করে এদিন ঘিরেও দেওয়া হয়েছে । তবে দফায় দফায় তল্লাশি চালিয়েও মেলেনি কোনও কিছু । প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, বোমাটি কেউ সেখানে লুকিয়ে রেখে যেতে পারে ।

Rahara Bomb Blast News
রহড়ার বিস্ফোরণস্থলে সিআইডি-র বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড

রহড়া, 15 মে : রহড়ার বিস্ফোরণস্থলে এসে পৌঁছাল সিআইডির বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড । রবিবার সেখানেই তথ্য সংগ্রহ করতে আসেন সিআইডির চার সদস্যের বম্ব স্কোয়াড (Bomb Disposal Squad at Rahra blast site) । তাঁদের সঙ্গে ছিলেন রহড়া থানার আইসি দেবাশিস সরকার, ব‍্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি (ঘোলা) তনয় চট্টোপাধ্যায় ।

জানা গিয়েছে, শনিবার থানার অদূরে জনবহুল এলাকায় কৌটা বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় শেখ সাহিল নামে এক কিশোরের । পরিবারের দাবি, থানার পিছনের ঝোঁপ থেকে বোমাটি কুড়িয়ে পেয়েছিলেন মৃত কিশোরের দাদু । তিনি সেটি কৌটো ভেবে বাড়িতে নিয়ে আসেন ৷ এরপরই কৌতূহলবশত বোমাটি নাড়াচাড়া করতে গিয়ে বিস্ফোরণে প্রাণ হারান ওই কিশোর । পুলিশ সূত্রে খবর, থানার পিছনের ঝোঁপে আর কোনও বোমা লুকিয়ে রাখা রয়েছে কিনা তা তল্লাশি চালিয়ে দেখেন বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডের সদস্যরা । জায়গাটি কর্ডন করে এদিন ঘিরেও দেওয়া হয়েছে । তবে দফায় দফায় তল্লাশি চালিয়েও মেলেনি কোনও কিছু । প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, বোমাটি কেউ সেখানে লুকিয়ে রেখে যেতে পারে । তবে কারা বোমাটি থানার পিছনের ঝোঁপে লুকিয়ে রেখে গেল তা নিয়ে এখনও অন্ধকারে পুলিশ । সেবিষয়ে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে ব‍্যারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশ কর্তারা ।

রহড়ার বিস্ফোরণস্থলে রবিবার তথ্য সংগ্রহ করতে আসেন সিআইডির চার সদস্যের বম্ব স্কোয়াড

আরও পড়ুন :Rahara Bomb Blast : দাদুর কুড়িয়ে আনা কৌটো বোমা ফেটে মৃত্যু নাতির, রহড়ায় চাঞ্চল্য

এদিকে বিস্ফোরণের 24 ঘণ্টা পরও বোমা রাখার ঘটনায় কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ । চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি দুষ্কৃতীদেরও । উল্টে মৃতের পরিবারের ওপর চাপ সৃষ্টির চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধেই । এই বিষয়ে মৃত সাহিলের বাবা পেশায় টোটো চালক শেখ আবুল বলেন, "তদন্ত না করে পুলিশ আমাদেরকেই দোষী সাজাতে চাইছে । বলছে আমরা নাকি বোমার কারবারের সঙ্গে জড়িত । আমরা যদি এই কারবার করতাম তাহলে কুঁড়ে ঘরে থাকতাম না ৷ আমার স্ত্রী পরিচারিকার কাজ করত না । সাহিলের দাদু না জেনেই কৌটােটি কুড়িয়ে এনেছিল । তিনিও জানতেন না কৌটােটি আসলে বোমা । কেউ কি জেনে বুঝে বোমা নিয়ে আসবে বাড়িতে ৷ আমরা চাই পুলিশ অপরাধীদের ধরে শাস্তি দিক ৷"

অন্যদিকে বিষয়টি নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি পুলিশের তরফ থেকে ।

ABOUT THE AUTHOR

...view details