অভিষেক নিয়ে কুণাল ঘোষের মন্তব্য নিজস্ব বলে দাবি চিরঞ্জিতের বারাসত, 17 ডিসেম্বর: নারায়ণ গোস্বামী বার বার চেষ্টা করছেন বারাসত থেকে প্রার্থী হতে ৷ এমনই দাবি করলেন বারাসতের বিধায়ক চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী ৷ রবিবার তিনি বলেন, "বারাসতে নিশ্চয় মধু রয়েছে! সেটা ওর থেকে কেউ ভালো জানে না ! সেই কারণে আগের বিধানসভা নির্বাচনে ও (নারায়ণ গোস্বামী) চেষ্টা করেছিল আমার জায়গায় দলের প্রার্থী হতে। সামনের বিধানসভা নির্বাচনেও চেষ্টা করছে যাতে বারাসত থেকে প্রার্থী হওয়া যায় ৷" নাম না-করে এভাবেই অশোকনগরের তৃণমূল বিধায়ক তথা জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামীর বিরুদ্ধে কার্যত বোমা ফাটালেন দলেরই তারকা বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী।
শুধু তাই নয়, নিজের বিধানসভা কেন্দ্র অশোকনগরের চেয়ে বারাসত বিধানসভা নিয়ে দলের এই বিধায়ক বেশি ব্যস্ত বলেও কটাক্ষের সুর শোনা গিয়েছে অভিনেতার গলায়। অন্যদিকে, তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের মন্তব্য নিয়ে চিরঞ্জিত চক্রবর্তী বলেন, "2036 সাল পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন সেটার সঙ্গে আমি সহমত। কিন্তু তারপর অভিষেক বন্দোপাধ্যায় নাকি অন্য কেউ মুখ্যমন্ত্রী হবেন, সেটা আমার জানা নেই। কুণালের আইডিয়া। নিশ্চয়ই সে ভেবে বলেছে ৷"
শাসকদলের তারকা বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর গোঁসা করার মূলে রয়েছে সম্প্রতি তৃণমূলের কোর-কমিটির বর্ধিত বৈঠকে বারাসতের নাগরিক পরিষেবা নিয়ে অভিযোগ করা। দলীয় সূত্রে খবর, সেই বৈঠকে চিরঞ্জিতের উপস্থিতিতেই কোর-কমিটির অন্যতম সদস্য, বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী জেলার সদর শহর বারাসতের নাগরিক পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এমনকী, পরিষেবা দেওয়া কিংবা নাগরিকদের অভিযোগ শোনার মতো সেখানে কোনও জনপ্রতিনিধি নেই বলেও আক্ষেপ করেন অশোকনগরের তৃণমূল বিধায়ক। এরপরই বৈঠকের মাঝপথে আচমকা সেখান থেকে বেরিয়ে যান বারাসতের তৃণমূল বিধায়ক। সেই সময় সংবাদমাধ্যমে চিরঞ্জিত মুখ না-খুললেও ঘটনার তিনদিন বাদে এ নিয়ে দলেরই বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি। কার্যত তাঁর বিরুদ্ধে বোমা ফাটিয়েছেন তৃণমূলের এই তারকা বিধায়ক।
রবিবার নিজের বিধানসভা কেন্দ্র বারাসতে জেলা গ্রন্থমেলা উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে হাজির হন তৃণমূল বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী। সেখানেই নারায়ণ গোস্বামীর অভিযোগ প্রসঙ্গে চিরঞ্জিত বলেন, "শুধু বিধায়ক কেন! সবাইকে উদ্দেশ্য করেই ও(নারায়ণ গোস্বামী) এই কথা বলেছে। তার মানে নিশ্চয় কোনও কারণ আছে। আমি এতদিন ধরে দেখেছি উনি অশোকনগর নিয়ে যত না ব্যস্ত, তার থেকে বেশি বারাসতকে নিয়ে। গত বিধানসভা ভোটে উনি এখানে (বারাসতে) দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু কোনও কারনে হয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে টিকিট দিয়ে দিলেন।"
আরও পড়ুন
- 'সংসদে নিরাপত্তায় বড় গলদ ছিল, বাংলার সঙ্গে এর কোনও যোগ নেই !' দিল্লি যাওয়ার আগে দাবি মমতার
- স্বাস্থ্যকেন্দ্রের রং গেরুয়া কেন হবে ? দিল্লি যাওয়ার আগে বিমানবন্দরে সরব মমতা
- 'সংসদে স্মোক ক্যানিস্টার হামলায় কোনও তর্ক-বির্তক নয়,' মন্তব্য নরেন্দ্র মোদির