বারাসত,1 অগাস্ট: এবার কোরোনার থাবা উত্তর 24 পরগনা জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দপ্তরেও।দপ্তরের পাঁচ কর্মী কোরোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।স্বাস্থ্য বিধি মেনে আক্রান্তদের হোম কোয়ারানটিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে যাবতীয় পদক্ষেপও গ্রহণ করা হয়েছে ।
কোরোনা সংক্রমণ ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে রাজ্যে। পাশাপাশি লম্বা হচ্ছে মৃত্যুর তালিকাও। এই পরিস্থিতিতে একেবারে সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে থেকে প্রতিনিয়ত কোরোনার বিরুদ্ধে লড়াই করে চলেছেন চিকিৎসক, নার্স,স্বাস্থ্যকর্মী ও পুলিশ এবং সাফাইকর্মী। অনেক সময় তারা নানাভাবে কোরোনা রোগীদের সরাসরি সংস্পর্শে আসছেন । তার জেরে সংক্রমণ ক্রমশ বাড়ছে কোরোনা যুদ্ধের প্রথম সারির এই সমস্ত সৈনিকদের মধ্যেও।গতকালই মধ্যমগ্রাম থানার IC সহ এক সাব ইন্সপেক্টরের সংক্রমিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে এবার সংক্রমণ ধরা পড়ল উত্তর 24 পরগনা জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দপ্তরেও।আক্রান্ত হলেন দপ্তরের পাঁচ কর্মী।
কোরানায় আক্রান্ত উত্তর 24 পরগনা জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দপ্তরের পাঁচ কর্মী
এবার কোরোনার সংক্রমণ জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দপ্তরেও। সংক্রমিত দপ্তরের পাঁচ কর্মী। তাদের পাঠানো হল হোম কোয়ারানটিনে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে কোরোনার উপসর্গ থাকায় কয়েকদিন আগেই ওই পাঁচ কর্মীর সোয়াব টেস্টের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। আজ সেই কোরোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে। আক্রান্তদের সংস্পর্শে কারা এসেছিলেন তাঁদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়েছে। প্রয়োজনে প্রত্যেকের কোরোনা পরীক্ষা করা হতে পারে। ইতিমধ্যে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দপ্তর জীবাণু মুক্ত করা হয়েছে। প্রশাসনের তরফে পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য,কোরোনা আক্রান্তের নিরিখে এই মুহূর্তে কলকাতার পরেই রয়েছে উত্তর 24 পরগনা জেলা। গত 24 ঘন্টায় উত্তর 24 পরগনা জেলায় কোরোনায় আক্রান্ত হয়েছেন 423 জন। মৃত্যু হয়েছে প্রায় 13 জনের।