বাগদা, 7 জুলাই: টেট দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন মন্ত্রী উপেন বিশ্বাসের 'সৎ রঞ্জন' তথা চন্দন মণ্ডলের বাড়িতে বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালানো সিবিআই (CBI Raids Chandan Mandals House)। রবিবার দুপুরে বাগদার মামা-ভাগ্নে চন্দনের বাড়িতে সিবিআইয়ের পাঁচ-ছয় জনের একটি দল আসে । কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে চন্দনের বাড়ি ঘিরে তল্লাশি চালান হয় বলে জানা গিয়েছে । প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে তল্লাশি করেন সিবিআই আধিকারিকরা ৷
এদিনের এই সিবিআই তদন্ত নিয়ে চন্দন মণ্ডলের মেয়ে চৈতালি জানান, সিবিআই-এর আধিকারিকরা এসেছিল বাবার খোঁজ করতে । কিন্তু বাবা বাড়িতে না-থাকায় বাবার সঙ্গে সিবিআই প্রতিনিধি দলের ফোনে কথা হয়েছে । সময় হলে বাবা সিবিআই দফতরে হাজির হবে ।
আরও পড়ুন :প্রাইমারি শিক্ষিকার চাকরি থেকে বরখাস্ত পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যর দুই মেয়ে
উল্লেখ্য, রাজ্যজুড়ে যখন এসএসসি, টেট দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে, একের পর এক মামলা রুজু হচ্ছে কলকাতা হাইকোর্টে, আদালতের নির্দেশে তদন্তভার হাতে নিতে হচ্ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই-কে, ঠিক সেই সময় নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন উপেন বিশ্বাস ৷ সেখানে শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতি নিয়ে সরব হন তিনি ৷ সেই ভিডিয়োতেই 'সৎ রঞ্জন'-এর প্রসঙ্গ তোলেন রাজ্য়ের এই প্রাক্তন মন্ত্রী ৷
উপেনবাবুর ব্যাখ্যা অনুযায়ী, 'সৎ রঞ্জন' হলেন এমন একজন ব্যক্তি, যিনি অত্যন্ত 'সততার সঙ্গে' বেআইনিভাবে শিক্ষক নিয়োগ করেন ৷ বদলে চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে মোটা টাকা আদায় করেন ৷ এক্ষেত্রে শর্ত শুধু একটাই ৷ চাকরির পরীক্ষা দিতে এসে 'সাদা খাতা' জমা দিতে হবে ওই প্রার্থীকে ৷ তাহলেই নাকি চাকরি পাকা ! আর যদি কোনও কারণে সেই ব্যক্তি চাকরি না-পান, তাহলে চাকরির জন্য নেওয়া টাকা ফেরতও দিয়ে দেবেন তিনি ৷ কারণ, এই বিষয়ে তিনি অত্যন্ত 'সৎ'!
টেট দুর্নীতি মামলায় বাগদার চন্দন মণ্ডলের বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি স্বাভাবিকভাবেই উপেনের এই পোস্ট ঘিরে শোরগোল পড়ে যায় ৷ অন্যদিকে, ইতিমধ্যে টেট-এ নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির (TET Recruitment Scam) অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন সৌমেন নন্দী নামে এক চাকরিপ্রার্থী ৷ সেই মামলায় পরে উপেন বিশ্বাসকে 'পার্টি' করা হয় ৷ আদালতের নির্দেশে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের (Justice Abhijit Ganguly) এজলাসে হাজির হয়েছিলেন উপেন ৷ তাঁর অভিযোগ, গোটা পশ্চিমবঙ্গে টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার জন্য একটি বিরাট চক্র তৈরি হয়েছে ৷ সেই চক্রে সংশ্লিষ্ট দফতর ও বিভাগের নিচুতলা থেকে উপরতলা, সমস্ত স্তরের কর্মী ও আধিকারিকদের একাংশ জড়িত রয়েছেন ৷