সন্দেশখালি, 15 জানুয়ারি: 144 ধারা ভঙ্গ করে আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে এবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার-সহ গেরুয়া শিবিরের একাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করল ন্যাজাট থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, আইন অমান্য, 144 ভঙ্গ-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে সুকান্ত-সহ বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনা নতুন মাত্রা যোগ করল সন্দেশখালি কাণ্ড ঘিরে।
উল্লেখ্য, সন্দেশখালি কাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড ও 'ফেরার' তৃণমূলের দাপুটে নেতা শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার ন্যাজাট থানা ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছিল গেরুয়া শিবির। সেই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি ও বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। তিনি ছাড়াও হাজির ছিলেন বিজেপির রাজ্য মহিলা নেত্রী অর্চনা মজুমদার, দলের উত্তর 24 পরগনা জেলার আহ্বায়ক কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়-সহ জেলা নেতৃত্ব।
সেদিনের আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন বিজেপির অসংখ্য কর্মী সমর্থকও। সেই আন্দোলন ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় ন্যাজাট থানা চত্বরে। পুলিশের দাবি, 144 ধারা ভঙ্গ করেই সেদিন জমায়েত হন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। এমনকী, পুলিশের দেওয়া ব্যারিকেড ভেঙে ন্যাজাট থানার ভিতরে ঢোকার চেষ্টাও করেন তাঁরা। যদিও পুলিশের তৎপরতায় সেই চেষ্টা বিফলে যাওয়ায় থানা চত্বরের সামনেই বসে পড়েন সুকান্ত মজুমদার-সহ আন্দোলনকারীরা।
পরে, থানা চত্বরের সামনে দাঁড়িয়ে পুলিশকে কার্যত হুঁশিয়ারিও দিতে দেখা যায় বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে। সেদিনের ঘটনার উত্তপ্ত পরিস্থিতির জেরে এবার পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা রুজু হল বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার-সহ গেরুয়া শিবিরের একাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে। এই বিষয়ে বসিরহাট জেলার পুলিশ সুপার জবি থমাস কে বলেন, "144 ধারা ভঙ্গ করার অভিযোগে বিজেপির নেতা থেকে কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে। শুরু হয়েছে ঘটনার তদন্তও।"
আরও পড়ুন:
- সন্দেশখালিকাণ্ডে পুলিশের জালে শাহজাহান ঘনিষ্ঠ আরও 2 অভিযুক্ত
- বাংলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে, সন্দেশখালি প্রসঙ্গে মমতাকে তোপ অনুরাগের
- সন্দেশখালিতে সংস্থার আধিকারিকদের উপর হামলা, তদন্তে অ্যান্টি রায়ট ডিভাইস ব্যবহার করবে ইডি