বারাসত, 14 সেপ্টেম্বর : রক্তদান শিবিরের অনুমতি বাতিল ঘিরে পুলিশ ও জনতার সংঘর্ষে অগ্নিগর্ভ উত্তর 24 পরগনার দেগঙ্গা ৷ লাঠিচার্জ ও ইটের আঘাতে জখম উভয়পক্ষের 20 জন ৷ পুলিশের উপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷ আজ ধৃতদের বারাসত আদালতে তোলা হয়েছে ৷
গতকাল বিকেলে দেগঙ্গা ফুটবল ক্লাবের রক্তদান শিবিরের অনুমতি বাতিল করায় পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে দেগঙ্গা বাজারে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান ক্লাবের সদস্যরা ৷ সেই বিক্ষোভে সামিল হন এলাকার মহিলারাও ৷ খবর পেয়ে সেখানে আসে দেগঙ্গা থানার পুলিশ ৷ প্রথমে অবরোধ তুলে নেওয়ার অনুরোধ করা হলেও তাতে আমল দেননি বিক্ষোভকারীরা ৷ প্রায় আধ ঘণ্টা পর পুলিশ জোর করেই অবরোধ তুলতে গেলে প্রথমে তাদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের বচসা বাধে ৷ পরে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় বিক্ষোভকারীদের ৷ এরপর উত্তেজিত জনতা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে শুরু করে ৷ প্রথমদিকে, সংখ্যায় কম থাকায় পিছু হটতে বাধ্য হয় দেগঙ্গা থানার পুলিশ ৷ পরে RAF ও কমব্যাট ফোর্স ঘটনাস্থানে আসে ৷ অভিযোগ, ঘটনাস্থানে এসেই RAF বিক্ষোভকারীদের উপর লাঠিচার্জ করে ৷ মহিলাদেরও নিগৃহীত করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে৷ পালটা জনতা রুখে দাঁড়ালে দুপক্ষরে মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায় ৷ কার্যত অগ্নিগর্ভের চেহারা নেয় দেগঙ্গা বাজার এলাকা ৷ পরে আরও পুলিশবাহিনী এসে পরিস্থিতি সামাল দেয় ৷ প্রাক্তন প্রতিরক্ষা কর্মী বিশ্বজিৎ দাসের অভিযোগ, "আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছিলাম ৷ কিন্তু, পুলিশ সেই আন্দোলনে নির্বিচারে লাঠি চালিয়েছে ৷ একপ্রকার ফেলে পেটানো হয়েছে ৷ বাদ যাননি মহিলারাও ৷ কোনও মহিলা পুলিশকর্মী ছিলেন না ৷ "